ক্যাম্পাস

ঢাবির সাইবার সেন্টারে ৩০ নতুন কম্পিউটার

প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের কম্পিউটারগুলো দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইবার সেন্টার। থেকেও না থাকার মতো কম্পিউটারগুলো একেবারেই অকেজো। স্লো পিসিতে কাজের আগ্রহও হারিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। দু`জন ল্যাব অ্যাসিস্টেন্ট থাকলেও নিয়মিতই শিক্ষার্থীদের অভিযোগ শুনতে শুনতে তারা বিরক্ত প্রায়। তবে অবসান ঘটেছে সে বিরক্তির। প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবারের মতো এক সঙ্গে সবগুলো কম্পিউটার নতুনভাবে সংযোগ করা হয়েছে এতে। কোরিয়ান অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় ৩০টি নতুন কম্পিউটার সংযোগ করা হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) ড. এস এম জাবেদ আহমদ। সম্প্রতি সাইবার সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন কম্পিউটারগুলোর সব বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন ৩০টি কম্পিউটার যোগ করা হয়েছে এতে। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে স্যামসাং, টিজি, এইচপি। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এগুলোর উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকেই সাইবার সেন্টারে ভিড়ও বেড়েছে শিক্ষার্থীদের। নতুন কম্পিউটারে স্বাচ্ছন্দে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরা। শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী তাওহিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, নতুন ৩০টি  ভালো কম্পিউটার সংযোজন হয়েছে। এখন কাজ করতে আগের মতো ঝামেলায় পড়তে হবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে যে একটি সাইবার সেন্টার আছে এটা অনেকে জানে না। তাই আমার মনে হয় প্রথম বর্ষে ভর্তির পর শিক্ষার্থীদের এর সঙ্গে পরিচয় করে দেয়ার একটা উদ্যোগ থাকা দরকার। জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথম যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরির অধীনে সাইবার সেন্টার। ৬০ টাকার বিনিময়ে ৫ ঘণ্টা ব্রাউজিংসহ নিজেদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারতেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু কয়েক বছর পর থেকেই সমস্যা দেখা দেয় এগুলোতে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দু`একটি করে নতুন কম্পিউটার সংযোজন করা হলেও এবারই প্রথম একসঙ্গে ত্রিশটি কম্পিউটার সংযোজন কর হয়েছে। সাইবার সেন্টারটিতে সহকারী ল্যাব কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন জাফর ইকবাল ও হামিদুল হক বিপ্লব। তারা বলেন, দীর্ঘদিন কম্পিউটারগুলো অকেজো ছিল। যার জন্য এগুলোতে কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন শিক্ষার্থীরা। তাই গত কিছুদিন আগে কোরিয়ান অ্যাম্বাসির সহযোগিতায় ত্রিশটি নতুন কম্পিউটার যোগ করা হয় এতে। এদিকে, সাইবার সেন্টারটিতে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটারের প্রাথমিক কোর্সের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুই ল্যাব সহকারী। তারা বলেন, সিন্ডিকেটে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই কোর্সটি চালু হবে। আপডেটেড করার বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) ড. এস এম জাবেদ আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, কিছুদিন আগে কোরিয়ান অ্যাম্বাসেডর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। তখন আমরা তাকে আমাদের সাইবার সেন্টারের কম্পিউটারের কথা বলি। তখন তারা অ্যাম্বাসি থেকে আমাদের ৩০টি কম্পিউটার দেন। এখন আমাদের শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দে কাজ করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের সায়েন্স লাইব্রেরিতেও নতুন ১৭টি কম্পিউটার সংযোজন করছি। যেগুলো আমাদের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন দিয়েছেন। আশা করি এগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন। এমএইচ/এমজেড/পিআর