ব্লুমফন্টেইনে রীতিমতো রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। হাই স্কোরিং এই ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করলেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এই সেঞ্চুরির সুবাধে ইংল্যান্ডের করা ৩৪২ রানের বিশাল স্কোরও টপকে গেলো প্রোটিয়ারা। ম্যাচ জিতে নিলো ৫ উইকেটের ব্যবধানে। তখনও বল হাতে বাকি ছিলো ৫টি।
Advertisement
সিরিজের প্রথম ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে ইংল্যান্ড। ওই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে প্রোটিয়ারা করেছিলো ২৯৮ রান। জবাব দিতে নেমে ২৭১ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংলিশরা। ২৭ রানের জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দ্বিতীয় ম্যাচে ৫ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিলো স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। তৃতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১ ফেব্রুয়ারি কিম্বারলিতে ।
ব্লুমফন্টেইনের মাঙ্গুয়াঙ ওভালে টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কিছুটা বিপদে পড়ে ইংলিশরা। ৯ রান করে আউট হয়ে যান জেসন রয়। ডেভিড মালান আউট হন ১২ রান করে। বেন ডাকেট ২০ রান করে বিদায় নেন।
Advertisement
এরপরই অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। হ্যারি ব্রুক আর অধিনায়ক জস বাটলার মিলে ইংল্যান্ডকে চেষ্টা করেন প্রোটিয়াদের নাগালের বাইরে নিয়ে যাওয়ার। ৭৫ বলে ৮০ রান করে আউট জন ব্রুক।
৮১ বলে ৯৪ রান করে অপরাজিত থাকেন জস বাটলার। ৪৫ বলে ৫১ রান করেন মঈন আলি। ক্রিস ওকস ১৪ এবং স্যাম কুরান করেন ২৮ রান। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪২ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড।
এই রান তাড়া করতে নেমে কুইন্টন ডি কক আর টেম্বা বাভুমা মিলে ৭৭ রানের জুটি গড়ে জয়ের ইঙ্গিত দেন। ২৮ বলে ৩১ রান করে আউট হয়ে যান ডি কক। ১০২ বলে ১০৯ রান করে স্যাম কুরানের বলে বোল্ড হয়ে যায় টেম্বা বাভুমা। রাশি ফন ডার ডুসেন ৩৮ বলে করেন ৩৮ রান। ৪৩ বলে ৪৯ রান করেন এইডেন মারক্রাম।
হেনরিক্স ক্লাসেন আউট হন ১৯ বলে ২৭ রান করে। ৩৭ বলে ৫৮ রান করেন ডেভিড মিলার। ২৯ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন মার্কো জানসেন। ৪৯.১ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
Advertisement
আইএইচএস/