সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিব হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি নাহিদ হাসানকে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে।শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার শহরতলীর সুলতানপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে সিলেট মহানগর পুলিশ।সিলেট সহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. নুরুল হুদা আশরাফী জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মৌলভীবাজারের শহরতলীর সুলতানপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে আটক করে সিলেট কোতোয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয়। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাবিব হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নাহিদ হাসান সিলেট মহানগরে প্রকাশ্যে ঘটা করে বিয়ে করেন। সেই বিয়েতে উপস্থিত থাকেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান। এ প্রসঙ্গে বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের কাছে একজন আসামির বিয়েতে উপস্থিতির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন যে, অভিযোগ সম্পর্কে তিনি জ্ঞাত ছিলেন না। ১১ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে জাগো নিউজে `বিয়ের পিঁড়িতে আসামি খোঁজে পায় না পুলিশ` শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করলে বিষয়টি আলোচনায় ওঠে আসে।এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি খুন হন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এসআইইউ) ছাত্রলীগ কর্মী কাজী হাবিবুর রহমান। অভিযোগ ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরদিনই হাবিবের বড় ভাই বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।মামলার আসামিরা হলেন, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ইলিয়াছ আহমদ পুনম, ইমরান খান, সুবায়ের আহমদ সুহেল, ময়নুল ইসলাম রুমেল, তুহিন আহমদ, নাহিদ হাসান, আওয়াল আহমদ সোহান, আশিক, সায়মন ও নয়ন।এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কাজি হাবিবের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ১৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে। এর আগে ১১ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ ইউনিভার্সিটির সিসি ক্যামেরায় সংরক্ষিত থাকলেও আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় পুলিশের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করেন কাজী হাবিবের সহপাঠীরা। এমনকি আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাহচর্যে থেকে অনেক আসামির প্রকাশ্যে চলাফেরার অভিযোগও ছিলো।ছামির মাহমুদ/এআরএ/এবিএস