দৈনিক বর্তমানের মালিক পক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সঙ্কট সমাধানের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন কর্মরত সাংবাদিক ও বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের নেতারা।রোববার সকাল ১০টার মধ্যে সঙ্কট সমাধান না হলে দৈনিক বর্তমান ভবনের যোগাযোগসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।দৈনিক বর্তমানের সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে পত্রিকাটির অচলাবস্থা নিরসনের দাবিতে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেন তারা।অবস্থান কর্মসূচির সভাপতি ও দৈনিক বর্তমানের বিশেষ প্রতিনিধি স্বপন দাশ গুপ্ত বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সঙ্কট সমাধান না হলে রোববার সকাল ১০টায় আমরা দৈনিক বর্তমান ভবনের সামনে মিলিত হব। পাশাপাশি ভবনের প্রবেশপথ ও লিফট সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।এর আগে, অবস্থান কর্মসূচিতে স্বপন দাশ গুপ্তকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়।বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া বলেন, দৈনিক বর্তমানে যারা কর্মরত তাদের প্রত্যেকেই মেধাবী। যদি তাদের বেকার করে দেওয়ার চেষ্টা চলে, এমনকি সরকারের প্রভাব খাটিয়ে কেউ মালিককে সহযোগিতা করে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি আলতাফ মাহমুদ বলেন, দৈনিক বর্তমানের মালিক সরকারের অনুকম্পা চাচ্ছেন। কিন্তু তার মতো লোকের অনুকম্পা হবে না। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কেউ যদি ষড়যন্ত্র করে, এমনকি আমার সংগঠনেরও কেউ হয় তাহলে তাকে বহিষ্কার করা হবে।অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম-মহাসচিব সাইফুল ইসলাম তালুকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস আফ্রাদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাব এডিটর কাউন্সিলের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, দৈনিক বর্তমানের পরিচয়ে পত্রিকাটির মালিক কারাগারে ভিআইপি প্রটোকল পাচ্ছেন। তার এ প্রটোকল বাতিল করতে হবে।সাংবাদিক নেতারা বলেন, অনেক পত্রিকা অষ্টম ওয়েজবোর্ডের ছাড়পত্র নিয়েছে। কিন্তু কয়টি তা বাস্তবায়ন করছে তা তথ্যমন্ত্রীর খতিয়ে দেখা উচিত।এ সময় বক্তারা দৈনিক বর্তমানের প্রকাশনা অব্যাহত রাখার দাবি জানান।