একুশে বইমেলা

বইমেলায় আসি ওদের ভালোবাসা পেতে

শিশুরাই তো আমার অনুপ্রেরণা। ওদের সঙ্গ পেলে আমি নিজেও শিশু হয়ে যাই। ওদের স্পর্শ আমাকে শৈশবে নিয়ে যায়, সমস্ত বিষন্নতা দূর হয়ে যায়। বইমেলায় আসি-ই ওদের ভালোবাসা পেতে। আমি ক্লান্ত হয়ে যাই, তবুও ওদের ভালোবাসা ফুরায় না।পাঠক-ভক্তের ভিড়ের মাঝে অটোগ্রাফ দিতে দিতে এমন অনুভূতির কথা শোনাচ্ছিলেন প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক জাফর ইকবাল। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাগোনিউজের সঙ্গে একান্ত আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, হ্যামিলিনের বাঁশিওয়ালা শিশুদের নিয়ে প্রাণে মেরেছিল। শিশুদের প্রতি ওর কোনো ভালোবাসা ছিল না। আর আমি ওদের ভালোবাসা দিতে আর নিতেই মেলায় আসি।লেখক বলেন, আমি মেলায় এলে শিশুরা আমার পিঁছু নেয়। পরক্ষণেই আমি ওদের দিকে ঘুরে যাই। ঘুরে ঘুরেই ওদের সঙ্গ দিই। অটোগ্রাফ দিই। এটি আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে। মেলার যেখানে যাচ্ছি সেখানেই ওদের কাছে পাচ্ছি। কোথাও ক্লান্ত হয়ে বসলেও রক্ষা নেই। ওরা কাদের ওপরে এসে ভর করে। ভরসা পায় বলেই তো এভাবে ভর দেয়া।অটোগ্রাফ পেলে ওরা (ভক্ত) খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায় উল্লেখ এই সাহিত্যক বলেন, ‘শুধু আমার নিজেই বইয়ে-ই নয়, সব লেখকের বইতে অটোগ্রাফ দিতে ভালো লাগে। অনেকের বই না থাকলে হাত এগিয়ে দেয়। হাতের তালুতেই অটোগ্রাফ দিয়ে দিই।’শুক্রবার সন্ধ্যায় মেলায় ছিল দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়। অমন ভিড় ঠেলেই যেন পাগলের মতো ছুটে বেরাচ্ছেন কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল। পিছনে ভক্তকূলের নম্বা বহর। কাকে ঠেলে কে আগে যেতে পারে, শিশুদের মাঝে চলছে তার তীব্র প্রতিযোগিতা। অমন প্রতিযোগিতায় আছেন তরুণ-তরুণীরাও। বয়স্কদের মাঝেও উৎসাহের কোনো কমতি নেই।কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজা সুলতানার সঙ্গে। তিনি বলেন, যখন বই পড়তে শিখেছি, তখন থেকেই জাফর ইকবাল স্যার আমার প্রিয় মানুষ। স্যারের দেখা পাওয়া মানেই তো হাতে চাঁদ পাওয়া। সুযোগ বুঝে একটি অটোগ্রাফও নিয়ে নিলাম।এএসএস/এসকেডি