প্রবাস

ক্যালগেরিতে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব

উৎসবমুখর ও বর্ণিল আয়োজনে কানাডার ক্যালগেরির বাংলাদেশ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে শীতকালীন পিঠা উৎসব। বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির আয়োজনে বাংলাদেশ সেন্টারে স্থানীয় সময় শনিবার ৩টা থেকে শুরু হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত এই উৎসব চলে।

Advertisement

তুষারাবৃত্ত কানাডার কর্মময় একঘেয়েমি জীবন থেকে বেরিয়ে এসে প্রবাসী বাঙালিরা আনন্দ-উৎসবে মেতে ছিল অন্যরকম এক মিলনমেলায়।

প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় আবাহনে বাংলার মাঠে প্রান্তরে এখন পিঠা উৎসবের আমেজ। নতুন ধানে ঘরে ঘরে পিঠা-পুলির উৎসব। আর এই উৎসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কর্মময় জীবনের পাশাপাশি প্রবাসী বাঙালিরাও মেতে উঠেছিল শীতকালীন পিঠা উৎসবে। বাঙালি জীবনে সংস্কৃতির এই উৎসব যেন এক মহামিলন।

নতুন প্রজন্মের কাছে হাজার বছরের আবহমান বাংলার কৃষ্টি ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরাই ছিল উৎসবের মূল লক্ষ্য। বিভিন্ন স্টলে ছিল বাংলার ঐতিহ্যময় হরেক রকমের পিঠা পুলি ও বাঙালি খাবারের পসরা।

Advertisement

রঙিন আর বর্নিল সাজে সজ্জিত হয়ে প্রবাসী বাঙালি গৃহিণীরা পরিবেশন করে চিতই পিঠা, পাটিসাপ্টা, পুলি এবং গুরা পিঠা, গোলাপ পিঠা, পাকন পিঠা, ভাপা পিঠা এবং হৃদয় হরন পিঠাসহ অন্যান্য পিঠা।

এছাড়াও বাংলার প্রকৃতির বৈচিত্র্যময় অবয়বে বাঙালিয়ানা সাজে সজ্জিত হয়েছিল বাংলাদেশ সেন্টার। আড্ডার সঙ্গে ছিল পিঠার আয়োজন। নারী-পুরুষ আর শিশু-কিশোরদের পদচারণায় পুরো সেন্টার পরিণত হয়েছিল এক খণ্ড বাংলাদেশে। সাংস্কৃতিক পর্বে গানে অংশ নেন মাহবুবা নুর অনু এবং রুবিনা ইয়াসমিন।

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অব ক্যালগেরির সভাপতি কয়েস চৌধুরী জানান, আমাদের রয়েছে সুন্দর একটি সংস্কৃতি, যে বলয়ে আমরা বেড়ে উঠেছি, আমাদের সেই ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে চাই। আর তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে এই পিঠা উৎসবের মধ্যে দিয়ে।

সংগঠনটির সহ-সভাপতি ইকবাল রহমান জানালেন, এ ধরনের একটি উদ্যোগে বিদেশের মাটিতে আমাদের সংস্কৃতির কথাই মনে করিয়ে দেয়। পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা খুব আনন্দ উপভোগ করছি।

Advertisement

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা ইয়াসমিন জানান, খুব ভালো লাগছে সবাইকে এক সঙ্গে দেখে। পিঠার ঐতিহ্যের পাশাপাশি আমাদের বাঙালিয়ানা আড্ডার ঐতিহ্যটাও এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা বজায় রাখতে পেরেছি।

বাংলাদেশ কানাডা অ্যাসোসিয়েশন অফ ক্যালগেরির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসিফ হোসেন জানান, সম্প্রীতির বন্ধনে সারা বছর এভাবে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।

সংগঠনটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক উম্মে তানিয়া জানান, আমাদের হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে হৃদয়ে ধারণ করাই আমাদের এই অনুষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।

এমআরএম/জেআইএম