আইন-আদালত

তথ্যে ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মামলা পরিচালনায় তথ্যে কী কী ঘাটতি রয়েছে তা যদি প্রধান বিচারপতি পয়েন্ট আকারে আউট করেন তাহলে তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।শনিবার দুপুরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের একটি অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার শুনানিতে ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও তদন্ত সংস্থার ‘অদক্ষতা, অযোগ্যতা এবং দুর্বলতা’র নিয়ে প্রধান বিচারপতির ক্ষোভ প্রকাশ করা নিয়ে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।  মন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতির মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য। আগামীতে যদি মানবতাবিরোধী মামলার কোনো রায়ে ত্রুটি বা ঘাটতিগুলো পয়েন্ট আকারে তুলে ধরেন তা হলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব। আর যদি তিনি পয়েন্ট আকারে প্রকাশ না করেন তাহলে ওনার সঙ্গে পরার্শ করেই মামলা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।গত ২৩ ফেব্রুয়ারি মীর কাসেমের আপিল মামলার শুনানিতে প্রসিকিউটরদের কড়া ভাষায় ভর্ৎসনা করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘প্রসিকিউশন, তদন্ত সংস্থার পেছনে রাষ্ট্রের টাকা খরচ হচ্ছে। কিন্তু তারা এসব কী মামলা পরিচালনা করছে? তারা (প্রসিকিউটররা) দামি দামি গাড়িতে চরেন আর পুলিশের হুইসেল দিয়ে ঘুরে বেড়ান।’আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরো বলেন, মানবতাবিরোধী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিল শুনানিতে মামলার তদন্তে রাষ্ট্রপক্ষের যে গাফিলতির কথা বলা হয়েছে তা আমি সংবাদপত্র এবং মিডিয়ার মাধ্যমে জেনেছি। মীর কাসেমের মামলায় ‘রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং তদন্ত সংস্থা যে গাফিলতি করেছে এজন্য তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো উচিৎ’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। এফএইচ/জেএইচ/এনএফ