২০২৩ সালের শুরুটা মোটেও ভালো হচ্ছে না পিএসজির জন্য। বাজে শুরুর যে ধারাবাহিকতা, তা থেকে এখনও বের হয়ে আসতে পারেনি মেসি-নেইমারদের দল। বুধবার রাতেও দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে প্যারিসের জায়ান্টদের। ফ্রেঞ্চ কাপের শেষ ষোলোয় ২-১ গোলে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাদেরকে।
Advertisement
২০১১ সালে কাতার ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপ পিএসজির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দলটি এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার মার্সেইয়ের কাছে হেরেছে। এবার তো হারলো দলে মেসি-নেইমারের মত ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও। পিএসজিকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলো মার্সেই।
২০২৩ সাল শুরুর পর এ নিয়ে তিন ম্যাচ হারলো পিএসজি। ফ্রেঞ্চ কাপে তাদের পরাজয়টা এমন এক সময়ে এলো, যখন মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় পিএসজি খেলতে নামবে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে।
ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি কিলিয়ান এমবাপে। বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষেও মাঠে নামতে পারবেন বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটজয়ী এই ফুটবলার। এমবাপে না থাকলেও সেরা একাদশে ছিলেন মেসি এবং নেইমার- দু’জনই।
Advertisement
তবুও হারতে হলো পিএসজিকে। ম্যাচ শেষে দলের এই দুরবস্থার জন্য কোনো কিছুকে দায়ী না করে অধিনায়ক মার্কুইনহোস সরাসরি বলে দিয়েছেন, ‘আমাদের এখন মুখ বন্ধ রাখতে হবে এবং কাজ করতে হবে।’
ম্যাচের ৩১তম মিনিটেই চিলিয়ান তারকা অ্যালেক্সিস সানচেজের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় মার্সেই। বক্সের মধ্যেই সার্জিও রামোস মার্সেই ফুটবলার চেঙ্গিজকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে গোল করেন সানচেজ।
তবে, সানচেজের এই গোল শোধ করে দেয় পিএসজি। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে পিএসজিকে সমতায় ফেরান ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস।
দ্বিতীয়ার্ধের ১২তম মিনিটে, খেলার ৫৭ মিনিটে পিএসজিকে আবারও স্তব্ধ করে দেন মার্সেইয়ের রুসলাম মালিনোভস্কি। ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। যেখান থেকে আর বের হতে পারেনি তারা।
Advertisement
পিএসজি অধিনায়ক মার্কুইনহোস বলেন, ‘তারা আমাদের ওপর খুব চাপ সৃষ্টি করেছিলো। আমরা তাদের ডিফেন্স লাইন ভাঙতে পারিনি। আমাদের জন্য এটা খুবই দুঃখজনক। কারণ, এটা কাপের খেলা এবং ম্যাচটি ছিল আমাদের সেরা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে।’
মার্সেই কোচ ইগোর টুডোর বলেন, ‘সত্যিই অসাধারণ। তারা হলো চ্যাম্পিয়ন। তাদেরকে হারানো অবশ্যই আমাদের জন্য সেরা কিছু।’
আইএইচএস/