পটুয়াখালী পৌরসভার সাধারণ শাখায় ১৯৯২ সালের ১ আগস্ট চাকরিতে যোগদান করেন আব্দুল মজিদ প্যাদা। দীর্ঘ সময় নগরবাসীকে সেবা দিয়ে ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি অবসরে যান মজিদ। এরমধ্যে জীবনের অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কোনো রকমে বেঁচে আছেন।
অবসরের পরে নিজের কর্মস্থল থেকে আনুতোষিক সম্মানিও পাননি তিনি। চিকিৎসার অভাবে রোগের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে কাটাচ্ছেন জীবন। শেষ বয়সে আনুতোষিক সম্মানির আশা ছেড়ে দিয়ে রোগশোক ও অভাব অনটনে দিন কাটাতে শুরু করেন।
হঠাৎ আব্দুল মজিদ পেলেন অবসর কালীন পেনশন, এককালীন ছয় লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠন করলো সরকার
শুধু আব্দুল মজিদ নয়, পটুয়াখালী পৌরসভা থেকে অবসরপ্রাপ্ত এমন ১৭ জন কর্মচারী পেনশনবঞ্চিত ছিলেন। এবার কেউ ২২ বছর, কেউ ২০ বছর, কেউ ১০ বছর ও কেউ ৫ বছর পর নিজের প্রাপ্য অধিকার বুঝে পেয়েছেন।
পৌরসভার কর্মচারীদের মাঝে এককলাীন পেনশনের এক কোটি একুশ লাখ ২০ হাজার ৮২৫ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। যা দেশের মধ্যে বিরল ঘটনা।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌরসভার হলরুমে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক হস্তান্তর করেন মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ।
এসময় পটুয়াখালী পৌরসভার কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পটুয়াখালী জেলা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, পৌরসভায় সারাজীবন চাকরি করে শেষ জীবনে নিজের অধিকার পেনশনের টাকা না পাওয়ার যে ট্রেডিশন, সেটি ভাঙার চেষ্টা করেছি। আজ যখন এসব মানুষের হাতে এককালীন তাদের প্রাপ্য টাকার চেক তুলে দিতে পেরেছি তখন নিজের কাছেই একটা ভালো লাগা কাজ করেছে।
আব্দুস সালাম আরিফ/এমএইচআর