বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠিতে এক স্কুলছাত্রীকে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে হয়রানির অভিযোগে কথিত এক ডাক্তারকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চুলকাঠি বাজার এলাকা থেকে স্থানীয় জনতা কথিত ডাক্তার প্রদীপ দাসকে (৩৫) পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এঘটনায় আটক প্রদীপ দাসের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে ঘটনাটি প্রকাশ পেয়েছে রোববার দুপুরে। পুলিশ ও স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। সদর উপজেলার রণজিতপুর গ্রামের অরবিন্দু দাশের বখাটে ছেলে প্রদীপ দাশ একটি আপত্তিকর ভিডিও দেখিয়ে মেয়েটির ভিডিও দাবি করে তাকে হয়রানি করে আসছিল। মেয়েটি তার কথা না মানায় উক্ত ছবি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দেখিয়ে এবং মেয়েটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে। এক পর্যায়ে এ অসম্মানের হাত থেকে রক্ষা পেতে মেয়েটির পরিবার পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। পুলিশ প্রদীপ দাশকে আটক করে থানায় প্রেরণ করে। প্রদীপ দাশের বহুবিধ পরিচয় রয়েছে।চুলকাঠি পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর জানান, আটক প্রদীপ দাশ এলাকায় নিজেকে ডাক্তার, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। সে অশ্লিল ভিডিও দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে হয়রানি করছিল। শনিবার বিকেলে স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে স্থানীয় আনিচ শেখের কাছ থেকে ওই ভিডিওটি পেয়েছে বলে দাবি করেন। বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, আটক প্রদীপ দাসের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার প্রদীপ দাশকে আদালতে পাঠানো হয় এবং সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।শওকত বাবু/ এমএএস/এবিএস