লিবিয়া উপকূলে ভূমধ্যসাগরে রাবারের নৌকা উলটে ডুবে যায় অনেক অভিবাসী। এখন পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। জাতিসংঘের অভিবাসী বিষয়ক সংস্থা আইওএম এক বিবৃতিতে বুধবার জানিয়েছে, অন্তত ৭৩ জন অভিবাসী নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নৌকাটিতে ৮০ জন অভিবাসী গাদাগাদি করে যাত্রা করেছিলেন। লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাসর আল-আখিয়ার গ্রাম থেকে এই নৌকা ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইওএম এর মুখপাত্র সাফা এমসেহলি জানিয়েছেন, মরদেহ উদ্ধার হওয়া ১১ জনের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। মৃতদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশি আছে কিনা সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
কাসর আল-আখিয়ার গ্রামের কর্মকর্তাদের অনলাইনে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা গেছে, লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট কর্মকর্তারা ভেসে আসা মরদেহ নিয়ে যাচ্ছেন। ফুটেজে ভেসে আসা ধ্বংসপ্রাপ্ত রাবারের নৌকাটিকেও দেখানো হয়েছে। তবে নৌকাটিতে কী ঘটেছিল তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: অথৈ সাগরে আল্লাহই ছিল ভরসা
আইওএম জানিয়েছে, নৌকাটির সাত যাত্রী সাঁতরে কূলে আসতে পেরেছেন এবং তাদের শারীরিক অবস্থা মারাত্মক ছিল। তাদের দ্রুতই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
হাজার হাজার ডলার দিয়ে জীবনের ঝুঁকি
কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা আরেকটি ভিডিওতে বেঁচে যাওয়া এক অভিবাসীকে বলতে শোনা যায় যে নৌকাটির বেশিরভাগ অভিবাসীই মারা গেছেন। নৌকার যাত্রীরা প্রত্যেকেই পাচারকারীদের তিন থেকে পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা) দিয়েছেন।
আইওএম এর তথ্যমতে, বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন রুটগুলোর একটি এই ভূমধ্যসাগরীয় রুট। যুদ্ধবিধ্বস্ত লিবিয়া অভিবাসীদের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। সাগরপথে মাত্র ২৯০ কিলোমিটার দূরেই ইতালি।
ফলে সাব-সাহারান আফ্রিকার বিভিন্ন দেশসহ নানা দেশের অভিবাসীদের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে লিবিয়া। বাংলাদেশ থেকে আসা অনেক অভিবাসীও এই পথটি বেছে নেন।
এর আগে মঙ্গলবার উদ্ধারকারী সংগঠন ওশেন ভাইকিং আরেকটি নৌকা থেকে ৮৪ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে। এসওএস মেডিটেরানে জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া এই অভিবাসীদের মধ্যে ৫৮ জনই ছিল অভিভাবহীন অপ্রাপ্তবয়স্ক।
সূত্র: ইনফোমাইগ্রেন্টস
এমআরএম/এএসএম