কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় স্বামীর দেয়া আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ শিরিনা আক্তারের (২২) মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা নতুন বাজার এলাকার ছায়েম উদ্দিনের মেয়ে। এলাকাবাসী জানায়, পাঁচ বছর আগে একই উপজেলার হরশী গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে রুবেল মিয়ার (৩০) সঙ্গে বিয়ে হয় শিরিনা আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল স্বামী রুবেল। আর এ নিয়ে পারিবারিকভাবে একাধিকবার দরবার-সালিসও হয়। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় স্ত্রী শিরিনা আক্তারের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় স্বামী রুবেল। এতে পুরো শরীর ঝলসে যায়। এসময় আর্ত-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর রাতেই তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। রোববার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, ঘটনার পরপরই অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূকে নিয়ে স্বজনরা ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে থাকায় কেউ মামলা করার সুযোগ পায়নি। সন্ধ্যায় নিহতের পিতা ছায়েম উদ্দিন থানায় হাজির হয়ে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজাহারে শিরিনার স্বামী রুবেল, বড় ভাই জুয়েল, ছোট ভাই খাইরুল ও মা নাছিমা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। নূর মোহাম্মদ/এআরএ/পিআর