এক পুলিশ কর্মকর্তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগায় অটোরিকশাচালককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনার পর থেকে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে, বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে আসলে অভিযুক্তকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার আদর্শনগর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোনাহার হোসেন। আর ভুক্তভোগী মোহনগঞ্জ পৌরশহরে নওহাল গ্রামের অটোরিকশা চালক মন্তু মিয়া (৪৯)।
ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, যানজটের মধ্যে এসআই মোনাহার হোসেনের মোটরসাইকেলে মন্তু মিয়ার অটোরিকশাটি সামান্য ধাক্কা লাগে। এরপর বাইক থেকে নেমে শার্টের কলার ধরে মন্তু মিয়াকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা। পরে মন্তুকে একটি দোকানের গলিতে নিয়ে বেধড়ক লাথি ও কিল-ঘুষি মারেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে থামানোর চেষ্টা করলে তিনি তাদের ওপরও চড়াও হন।
গত বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পৌরশহরের স্টেশন রোডে এ ঘটনা ঘটে। পরে মন্তু মিয়াকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অটোরিকশা চালক মন্তু মিয়া বলেন, বাজারে যানজটের মধ্যে অটো ঘোরাতে গিয়ে এসআই মোনাহারের মোটরসাইকেলে সামান্য ধাক্কা লাগে। এতে তার বাইকের কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু তিনি বাইক থেকে নেমে কলার চেপে ধরে আমাকে অটো থেকে নামিয়ে রাস্তার ওপর ফেলে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করেন। পরে একটি দোকানের গলিতে নিয়ে বেধড়ক মারেন। আশপাশের লোকজন তাকে থামাতে এলে তিনি তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোনাহার হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
জানতে চাইলে নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচ এম কামাল/এমআরআর/জেআইএম