ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর অংশের বেহাল দশা। ১৪ কিলোমিটার সড়কে খানাখন্দে ভরা। কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে বড় গর্তও। ফলে এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের মাদারীপুর অংশ ৪৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে সদর উপজেলার ঘটকচর থেকে কালকিনি উপজেলার ভুরঘাটা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দে ভরা। সড়কের অধিকাংশ জায়গায় পিচ উঠে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন চালকসহ যাত্রীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কয়েক দফায় এ মহাসড়কের মাদারীপুর অংশের বিভিন্ন স্থানে মেরামতের কাজ করা হয়েছে। এখনো চলছে মেরামতের কাজ। তবুও কয়েক মাস পর পর এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ হয়। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। ফলে ভাঙা রাস্তা দিয়ে চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত পাঁচ অর্থবছরে মহাসড়কের মাদারীপুর অংশের বিভিন্ন স্থান মেরামতে ব্যয় করা হয়েছে ৮২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ কোটি ১১ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য রাজন মাহমুদ বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে সড়ক মেরামত করা হলেও সড়কের এ অবস্থা খুবই দুঃখজনক। আসলে নিম্নমানের কাজ করাই সড়কের এই অবস্থা হয়েছে।’
সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. জাহিদ খান বলেন, ‘প্রায় দিন এ পথ দিয়ে যেতে হয়। মস্তফাপুর পার হলে বড়মেহের, চাপতি, তাঁতিবাড়ি সড়কের এ অংশটুকু যেতে ভীষণ কষ্ট হয়। রাস্তা খুব খারাপ।’
সোনারতরী পরিবহনের চালক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক সংস্কারের সময় নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারে করে। তাই কয়েক মাস গেলেই রাস্তার এ অবস্থা হয়।’
সাকুরা পরিবহনের যাত্রী পিরোজপুরের বাসিন্দা সোহাগ মোল্যা বলেন, ‘কাজের মান খারাপ হওয়ায় কিছুদিন যেতেই সড়কগুলো খানাখন্দে ভরে যায়। ফলে আমাদের ঝুঁকি নিয়েই চলাফেরা করতে হয়।’
মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল হাসান জাগো নিউজকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সড়ক মেরামতের কাজ চলমান আছে। এছাড়া ভারি যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ থাকায় সড়কের এ অবস্থা হচ্ছে। মহাসড়কটি দ্রুত চারলেনে উন্নীত হবে। তখন আর ভোগান্তি থাকবে না।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জাগো নিউজকে বলেন, নিন্মমানের কাজ করাসহ সড়ক সংস্কারের নামে যদি কেউ অর্থ অপচয় বা আত্মসাৎ করে থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এসজে/জেআইএম