মোটরসাইকেল ভাড়া করে মাঝপথে থামিয়ে চালক মো. জসিমকে খুন করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। এই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে আসামি রাকিব হাওলাদারকে। আদালত থেকে জামিন পেয়ে পলাতক জীবন শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক হত্যা মামলায় রাকিবকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।
২০১৩ সালে বরিশালের গৌরনদীতে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় ২১ মাস কারাভোগ করে জামিন পাওয়ার পর ছিলেন আত্মগোপনে। অবশেষে পলাতক রাকিব হাওলাদারকে (৩০) গাজীপুর টাকশাল এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ তথ্য জানান র্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ও সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি বরিশাল জেলার গৌরনদী যাওয়ার কথা বলে আসামি রাকিব হাওলাদারসহ আরও দুজন আসামি বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ধানসিঁড়ি হোটেলের সামনে থেকে জসিমের মোটরসাইকেল ভাড়া করে। চালক জসিমের মোটরসাইকেলটি গৌরনদীর লক্ষণকাঠি গ্রামে পৌঁছালে আসামিরা মোটরসাইকেলটি থামাতে বলে। এরপর আসামি তার কোমর থেকে একটি চাকু বের করে মোটরসাইকেল চালক মো. জসিমের গলায় আঘাত করেন। চালক জসিমের মরদেহ ঘটনাস্থলের পাশের খালে ফেলে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারও করে। ২১ মাস কারাভোগ করে জামিন পাওয়ার পর আসামিরা আদালতে নিয়মিত হাজিরা না দিয়ে পলাতক থাকে। আদালতে দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতার এড়াতে আসামিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে দীর্ঘদিন পলাতক থাকে।
র্যাব জানায়, বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে র্যাব-২-এর একটি আভিযানিক দল গাজীপুর টাকশাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাকিব হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। হত্যাকাণ্ডের পর নিজের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর টাকশাল এলাকায় লেবারের কাজ করে আত্মগোপনে ছিল রাকিব। সে মামলার ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরএসএম/এমকেআর/এএসএম