দিনাজপুরে কনস্টেবল নিয়োগে পরীক্ষার্থী ও প্রতারক চক্রের সদস্যসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের ছয়টি প্রবেশপত্র, ১০০ টাকা মূল্যমানের ৯ টি ননজুডিসিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প, বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি ফাঁকা চেকের পাতা, প্রতারক চক্রের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জব্দ করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নিজের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ।
গ্রেফতাররা হলেন- দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর কৈকুড়ি গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৩৮), নীলফামারী সদর উপজেলার বেড়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে মিশকাতুল ইসলাম (২৩), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দার কচুবাড়ী গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে রোকনুজ্জামান (৩০), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার হেলেঞ্চার সালটির হাট গ্রামের নাজমুল হকের ছেলে নাহিদ ইউসুফ (১৮), একই উপজেলার সালটি পাড়া গ্রামের বাটুল সরকারের ছেলে শাহরিয়ার সরকার (১৮), রংপুর সদর উপজেলা রহরিদাতপুর গ্রামের কারিমুল ইসলামের ছেলে মিষ্টার রহমান (১৮), রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মদবাই পাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে মোহাইমেনুল (১৮), রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ফুলচৌকি গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে রাজা মিয়া (১৮), কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার মোকছেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান (১৮), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিংপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে পজিরুল ইসলাম (৪৩), জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত সাইদুর রহমানের ছেলে সাইফুল রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম রিপন (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মহসীন আলম (৩৫)।
পুলিশ সুপার বলেন, দিনাজপুরে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগের জন্য ১১-১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। যারা এ যাচাইয়ে উর্ত্তীণ হন তাদের লিখিত পরীক্ষা ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। গ্রেফতারদের মধ্যে ছয়জন পরীক্ষার্থী, একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী ও পাঁচজন দালাল চক্রের সদস্য। এদের মধ্যে পাঁচজন কারাগারে আছে। বাকিদেরও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এমদাদুল হক মিলন/এসজে/জেআইএম