কুষ্টিয়ায় পৌর মেয়রের কার্যালয়ের সামনে থেকে দরপত্র ছিনতাইয়ের ঘটনায় করা দুটি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে কর্মসূচি হলে শহরের প্রধান সড়ক এনএস রোড প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকে।
বক্তরা বলেন, ২৬ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদারের কাছ থেকে টেন্ডার ছিনতাই ও এ ঘটনার দুদিনের মাথায় মেয়রের কার্যালয়ের তালা ভেঙে চুরির অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা দুটি মামলা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারে দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দিয়ে শহর অচল করার আলটিমেটাম দেন তারা।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খাঁন জানান, কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
'
আরও পড়ুন: টেন্ডার জমা দেয়ার শেষ দিন বক্সের তালা ভেঙে দরপত্র ছিনতাই
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌনে ১টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়রের কার্যালয়ের সামনে প্রকাশ্য ঠিকাদারের কাছ থেকে টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় ঠিকাদারসহ কয়েকজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঠিকাদার তাৎক্ষণিকভাবে টেন্ডার গ্রহণ প্রক্রিয়া বাতিলসহ পুনরায় টেন্ডার আহবানের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন জানান।
একই সঙ্গে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর কৌশিক আহমেদ ওরফে বিচ্ছু, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আফিল উদ্দিন, কুষ্টিয়া শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী, পৌরসভার কাউন্সিলর আনিস কোরাইশীর ছেলে কুষ্টিয়া শহর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসিব কোরাইশী, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফেরদৌস খন্দকার, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সুজন ঘোষ, জুয়েলসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করে দ্রুত বিচার আইনে মডেল থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার ইব্রাহীম হোসেন।
আল-মামুন সাগর/আরএইচ/জিকেএস