সদ্য ঘোষিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফলে শতভাগ কৃতিত্ব অর্জন করেছে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের শৈলজুড়া এলাকায় স্থাপিত প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুল।
উপজেলার ২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় শতভাগ বৃত্তি লাভ করার গৌরব অর্জন করেছে। স্কুল দুটি হলো প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুল ও সাবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুল থেকে গত বছর অনুষ্ঠিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ১১ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এরমধ্যে ট্যালেন্টপুলে সাতজন ও সাধারণ গ্রেডে চারজন বৃত্তি লাভ করেছে।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলো নাফিসা শারমিন, তাসনিম তাবাসসুম তিনা, তাসনুবা আক্তার তানহা, রওনক জাহান, আল-আমিন হোসাইন আবির, আজিমুশশান আবির ও মো. ওলিউল্লাহ।
সাধারণ গ্রেডে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলো বিভান দেব বিহান, রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, তাসফিয়া হক রাইসা ও আফসানা চৌধুরী।
প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক (প্রাথমিক শাখা) মো. সানাউল্লাহ বলেন, এবছর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ১১ শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই বৃত্তি পেয়েছে। এটা আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন ও খুবই গৌরবের।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ সিদ্ধান্ত আসে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা হবে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিশেষ কোচিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করিয়েছি। বিশেষ টেককেয়ার করেছি। যে কারণে আমাদের এ সাফল্য এসেছে।’
এ বিষয়ে প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ মুবিনুল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় চমৎকার এ সাফল্য নিঃসন্দেহে গৌরবের। আমাদের শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে সাফল্য এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি বিধি মোতাবেক আমাদের ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পেরেছিল। বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারলে হয়তো আরও সাফল্য আসতো।’
প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলের উপদেষ্টা সুপ্রিতা পাল বলেন, ‘সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমাদের এ সফলতা। আমরা সবসময় শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ ও মানসম্মত শিক্ষার মধ্যদিয়ে দক্ষ, যোগ্য ও উন্নত জাতি গঠনে বদ্ধপরিকর।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, উপজেলার ২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ২৪ জন ট্যালেন্টপুলে ও ৭৩ জন সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছে। এরমধ্যে প্রাণ-আরএফএল পাবলিক স্কুলসহ দুটি বিদ্যালয় শতভাগ বৃত্তি পেয়েছে।
কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসআর/এমএস