দিনাজপুরের হিলিতে সপ্তাহের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। রমজানেও এমন দাম থাকবে বলে আশা তাদের। তবে আমদানিকারকরা বলছেন, আমদানি স্বাভাবিক থাকলে এমনিতেই দাম হাতের নাগালে চলে আসবে।
হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, আগে থেকেই হিলিবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি চালু আছে। তবে কিছুদিন ধরে আমদানি একটু বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বন্দর দিয়ে ২৭৬ মেট্রিন টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারের সবজি দোকানগুলোতে প্রকারভেদে ভারতীয় খোলা পেঁয়াজ ৪ থেকে ৫ টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে। ২৩ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এসব পেঁয়াজ, যা ২৫ ফেব্রুয়ারি বিক্রি হয়েছে ২৮-৩০ টাকা দরে।
হিলি বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রেতা মজিবর রহমান বলেন, ‘পেঁয়াজ কাঁচাপণ্য। আমদানির ওপর দাম নির্ভর করে। যেদিন বেশি আমদানি হয় সেদিন দাম কম হয়। আর আমদানি কম হলে দাম বেশি হয়। আজকের বাজার জানা যাবে বিকেলের পর।’
আরও পড়ুন: ঋণপত্রে জটিলতা থাকলেও বেড়েছে আমদানি
তিনি বলেন, ‘হিলি বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক ঢোকে দুপুরের পর। এরপর কাগজপত্র সারতে বিকেল হয়ে যায়। তাই যেদিন পেঁয়াজ আমদানি হয়, তার পরের দিন সেই পেঁয়াজ বাজারে আসে। কোনোদিন সন্ধ্যার পরও আসে।’
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. শাকিল জাগো নিউজকে বলেন, ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে কিনে ২২ টাকায় ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি করছি।
আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘অন্যন্য মাসের তুলনায় রমজান উপলক্ষে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ একটু বেশি আমদানি করেন। তবে কয়েক সপ্তাহের তুলনায় পেঁয়াজের বাজার কিছুটা কমেছে। আমদানি সচল থাকলে কেজি ২০ টাকার নিচে নামার সম্ভাবনা রয়েছে।
মাহাবুর রহমান/এসআর/এমএস