ক্যাম্পাস

প্রক্টরের পদত্যাগসহ রাবি শিক্ষার্থীদের ৬ দাবি

স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হককে অপসারণসহ ছয় দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

দুই ঘণ্টা বিরতির পর আবারও প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। আগুন জ্বালিয়ে ও গাছ ফেলে রাস্তা অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ করছেন। সেখান থেকে এ দাবি তোলেন তারা।

এরআগে রোববার (১২ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: সড়ক অবরোধ করে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, যান চলাচল বন্ধ

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-

১. অনতিবিলম্বে প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হককে অপসারণ করতে হবে।২. সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও আইডি কার্ড বাদে প্রবেশ নিষেধ করতে হবে।৩. হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ও প্রশাসন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।৪. শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করতে হবে।৫. আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।৬. সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপকারী বিজিবি/পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।

এরআগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারকে প্রায় দুই ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। তারা উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যকে তার বাসভবনে পৌঁছে দেন।

আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ উপাচার্যকে দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার করলো ছাত্রলীগ

বাসের ভাড়া নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের একপর্যায়ে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে অবস্থান নেন। সংঘর্ষে আহত হন দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে একটি বাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ নামের এক ছাত্র। যাত্রাপথে ভাড়া নিয়ে তার সঙ্গে বাসের সুপারভাইজার ও হেলপারের বাগবিতণ্ডা হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে বাস থেকে কাউন্টারে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা-কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

মনির হোসেন মাহিন/এসআর/জিকেএস