আনন্দ উদযাপনের সব প্রস্তুতিই সম্ভবত পূর্বেই সেরে রেখেছিলেন সিলেট নগরের তরুণরা। বিপত্তি ঘটে সাকিব আল হাসানের উইকেটটি হারানোর পর। বাংলাদেশ বেশ চাপে পড়েছিল। যোগ্য অধিনায়ক মাশরাফি ধুমধারাক্কা শট খেলে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন।তখনও পুরো সিলেট নগরে সুনসান নীরবতা। সবাই টিভি পর্দার সামনে বসে মোনাজাতের ভঙ্গিতে মুখ চেপে দুশ্চিন্তা দূর করার চেষ্টায় ছিলেন। কিন্তু মাহমুদল্লাহ রিয়াদের একটি চার ৫ বল হাতে রেখেই জয়টা নিশ্চিত করেই দেয়।এর পরপরই সিলেটের পাড়া-মহল্লায় ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে। নগরের অলি-গলি থেকে অসাধারণ এই জয়োৎসব উদযাপনে রাজপথে নেমে আসেন সিলেটের তরুণ-তরুণীরা।শুধু কি সিলেট নগর? আসলে বাংলাদেশ বাংলাদেশ ধ্বনিতে প্রকম্পিত ৫৬ হাজার বর্গমাইল। স্বাধীনতার মাসে এই অসাধারণ জয়যুদ্ধ জয়ের মতোই উত্তেজনা ছড়ায়।সিলেট নগরের জিন্দাবাজার, আম্বরখানা, টিলাগড়, বন্দরবাজার, ঘাসিটুলা, ওসমানি মেডিকেল রোড, কাজলশাহ, শাহজালাল উপশর এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি এলাকায় উল্লাসিত ক্রিকেটপ্রেমীরা খেলা শেষের সঙ্গে সঙ্গে বের করেছেন বিজয় মিছিল।এ যেন স্বাধীনতার মাসে খেলার মাঠে আরেক স্বাধীনতা অর্জন। উৎসবে মাতলো সিলেট নগর। দুড়ুম দুড়ুম আতশবাজির শব্দে নিস্তব্ধ রাতের নগরী মুহূর্তে গর্জে উঠলো। দল বেঁধে পাড়ার তরুণরা মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিলে কাঁপিয়ে দেয় শহরের সবক’টি সড়ক।অই অই.. শব্দে ছুটলো তারা নগরের অলিগলি। রাতের অন্ধকারে মোটরসাইকেলের শাঁ শাঁ বাতাসে উড়ে লাল-সবুজের পতাকা। আগামীর এই তরুণ ক্রিকেট উন্মাদরা গোটা নগরীকেই জানান দিলো, বাংলাদেশ মানেই মাথা নত করা নয়, বাংলাদেশ মানেই বিজয়, বাংলাদেশ মানেই পাকিদের হাতে বিমানের টিকিট। রাত ১টা পর্যন্ত নগরের অলিগলিতে বাংলাদেশ বাংলাদেশ স্লোগানে মুখর সিলেট পুরো নগর।ছামির মাহমুদ/বিএ