জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বর্ণাট্য আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিব মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দল, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি, পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তর পরিচালক, প্রক্টর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতিসহ অন্যান্য শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জবির কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ৭ মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানি আইন দিয়ে নয়, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই নিয়ন্ত্রিত হতো পূর্ব বাংলা। বঙ্গবন্ধু শুধু বাঙালি নয়, পুরো বিশ্বে নেতৃত্বের দৃষ্টান্তে অবধারিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার জীবনের বেশিরভাগ সময়ই লড়াই-সংগ্রাম, কারাবরণের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠন পূরণ করে যেতে পারেননি, কিন্তু তারই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাবিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশকে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
Advertisement
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় নতুন একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য। প্রতিযোগিতায় ১০টি স্কুলের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। বাদ জুম্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
রায়হান আহমেদ/বিএ/এএসএম