অর্থনীতি

‘ভ্রাম্যমাণ বিক্রিতে গরুর মাংস খাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারছে মানুষ’

‘কম দামে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রির উদ্যোগকে অবশ্যই স্বাগত জানাই। বাজারে দেখলাম গরুর মাংস ৮০০ টাকা আর এখানে ৬৪০ টাকা। যারা সাধারণ চাকরিজীবী তাদের জন্য খুবই সাশ্রয়ী। এখন মানুষ গরুর মাংস খাওয়ার স্বপ্ন দেখতে পারছে।’

Advertisement

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকালে সচিবালয়ের পাশে (আবদুল গণি রোড) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রের সামনে এভাবে মনোভাব ব্যক্ত করেন সরকারি চাকরিজীবী বেলায়েত হোসেন।

সেখানেই আরেক ক্রেতা মাহবুবুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘দাম অনুযায়ী এখানে অনেক ভালো। এরকম হলে মানুষ একটু কিনে খেতে পারে। তবে পণ্য আরেকটু বাড়ালে ভালো হতো। কারণ সময় কম হওয়ায় গতকাল দুপুর ২টায় এসে পাইনি। তাই পণ্য আরেকটু বাড়ালে আমরা সবাই নিতে পারি।’

আরও পড়ুন>> সুলভমূল্যে দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি: দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন অনেকে

Advertisement

অন্যান্য দিনের মতো আজও নির্ধারিত স্থানগুলোতে বিলম্বে পৌঁছেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সুলভমূল্যে দুধ, ডিম ও মাংসের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রমের গাড়ি। এ বিষয়ে ওই বিক্রয় কেন্দ্রের বিক্রয়কর্মী শহিদুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আজ আমরা সাড়ে ৯টায় এসেছি। এরপর থেকে সুন্দরভাবেই বিক্রি কার্যক্রম চলছে। মানুষও শৃঙ্খলভাবে কিনে নিচ্ছে।’

পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাজধানীর নতুন বাজার (বাড্ডা), কড়াইল বস্তি, খামারবাড়ি, আজিমপুর মাতৃসদন, গাবতলী, দিয়াবাড়ী (উত্তরা), জাপান গার্ডেন সিটি, ৬০ ফুট রোড, খিলগাঁও (রেলক্রসিংয়ের দক্ষিণে), সচিবালয়ের পাশে (আবদুল গণি রোড), সেগুনবাগিচা (কাঁচাবাজার), আরামবাগ, রামপুরা, কালশী (মিরপুর), যাত্রাবাড়ী (মানিকনগর গলির মুখে), বছিলা, হাজারীবাগ (সেকশন), লুকাস মোড় (নাখালপাড়া), নয়াবাজার (পুরান ঢাকা) এবং কামরাঙ্গীর চর এলাকায় সুলভমূল্যে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

এবছর প্রাথমিকভাবে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৪০ টাকা, খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা, দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা এবং ডিম প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে বিক্রয় করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন>> রমজানে সুলভমূল্যে দুধ-ডিম-মাংস বিক্রি শুরু

Advertisement

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুধ, ডিম ও মাংসের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে রমজান মাসে জনসাধারণ যেন প্রাণিজ আমিষ ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারে সে লক্ষ্যে ব্যবসায়ী, উৎপাদনকারী ও সাপ্লাই চেইন সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

আইএইচআর/ইএ/জেআইএম