দেশজুড়ে

অন্যের হয়ে নির্বাচন করায় সনদে সই দেননি ইউপি চেয়ারম্যান

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ওয়ারিশান ও চারিত্রিক সনদপত্র না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সোহাগ তালুকদার নামের এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। তিনি ওই উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়ন পরিষদেৱ চেয়ারম্যান।

এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীর খান নামের এক ভুক্তভোগী।

জাহাঙ্গীর খানের বাড়ি উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের কলুঙ্কা গ্রামে।

ভুক্তভোগী জাহাঙ্গীর খান অভিযোগ করে বলেন, পারিবারিক কারণে আমার ওয়ারিশান সনদ প্রয়োজন হয়। গত ২০ মার্চ স্থানীয় মেম্বারের মাধ্যমে সনদপত্র তৈরি করে চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের কাছে গেলে তিনি ওই সনদপত্রে সই করতে অস্বীকৃতি জানান। এমনকি আমাদের পরিবারের কোনো বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে না বলে জানান।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমরা চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের বিপক্ষে অন্য প্রার্থীর হয়ে নির্বাচন করেছি। সেই রাগে তিনি আমাদের পরিবারের লোকজনকে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত করছেন।

জাহাঙ্গীর খান বলেন, বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি। তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।

‘গত ফেব্রুয়ারি মাসে চাকরির জন্য চারিত্রিক সনদপত্র তুলতে আমার ভাতিজা ইউনিয়ন পরিষদে গেলে চেয়ারম্যান চারিত্রিক সনদ দেননি। পরে এ কারণে ভাতিজার চাকরি হয়নি। ওই বিষয়টিও ইউএনওকে জানিয়েছিলাম কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি,’ যোগ করেন এ ভুক্তভোগী।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদার বলেন, ‘অভিযোগটি বানোয়াট। ওয়ারিশান সনদের জন্য যখন গিয়েছিল তখন আমি এলাকার বাইরে ছিলাম। ফোনে বলেছি দুইদিন পর পরিষদে এসে নিয়ে যেতে। তারপরও অভিযোগ করেছে। এটা দুঃখজনক।’

মোহনগঞ্জ ইউএনও ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি বলেন, চেয়ারম্যান কোনোভাবেই নাগরিকের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না। অভিযোগের বিষয়টি মৌখিকভাবে ডিসি স্যারের কাছ থেকে জেনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এইচ এম কামাল/এসআর/জিকেএস