মোগল আমলের অন্যতম পুরাকীর্তি বরগুনার বিবিচিনি শাহী মসজিদ। সাড়ে চারশো বছরের পুরনো এ মসজিদটির স্থাপত্য শৈলী মুগ্ধ করছে পর্যটকদের। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছুটে আসে মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, ১৬৫৯ সালে সুদূর পারস্য থেকে দিল্লিতে আসেন শাহ নেয়ামত উল্লাহ। ওই সময়ে সুবেদার মোহাম্মদ শাহ সুজার অনুরোধে এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে মসজিদটি তার তার মেয়ে হায়াচ বিবি চিনির নামে নামকরণ করা হয়। ১৭০০ সালে হযরত শাহ নিয়ামত উল্লাহ’র মৃত্যুর পর তাকে এ মসজিদের পাশে সমাহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশের ‘সবচেয়ে ছোট’ মসজিদ গাইবান্ধায়
মসজিদটির অবস্থান বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নে। এটি ৩৩ ফুট লম্বা, ৩৩ ফুট চওড়া। মসজিদটির দেওয়াল প্রায় ৬ ফুট প্রশস্ত।
মসজিদে দায়িত্বরত মুয়াজ্জিন মো. আবু হানিফ জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মসজিদটি দেখতে আসেন দর্শনার্থীরা। শুক্রবার দর্শনার্থীদের আগমন বেশি থাকে। বর্তমানে মসজিদটিতে ইমাম হিসেবে রয়েছেন মাওলানা আব্দুল মান্নান।
বরিশাল থেকে আসা মো. রাকিব নামের এক দর্শনার্থী জানান, প্রথমবার এখানে এসেছি। মোগল আমলের এ মসজিদটি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। ইটের গাঁথুনিতে নির্মিত মসজিদের গম্বুজ এবং ভিতরের কারুকাজ দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলের ঐতিহ্যবাহী ধনবাড়ি নওয়াব শাহী জামে মসজিদ
বাকেরগঞ্জ থেকে আসা ইউসুফ হাওলাদার বলেন, মসজিদটির নাম শুনেছি অনেকের মুখে। কিন্তু কখনো আসা হয়নি। চারপাশ সমতল হলেও শুধু মসজিদটি উঁচু টিলার ওপরে রয়েছে সেটি একটি বিশেষ আকর্ষণ।
১৯৮৫ সালে মসজিদটি প্রথম সংস্কার করে বেতাগী উপজেলার প্রশাসন। পরে ১৯৯২ সালে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের দায়িত্ব গ্রহণ করে।
আরএইচ/জেআইএম