দেশজুড়ে

বরগুনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ২৪

বরগুনার তালতলী উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষের ২৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার মালিপাড়া সালেহিয়া মাদরাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির ১৯ জন ও আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীর আহত হন।

তালতলী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মালিপাড়া সালেহিয়া মাদরাসা মাঠে নেতাকর্মী নিয়ে গণ-অবস্থান কর্মসূচি শুরু করি। এসময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দা ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমাদের ১৯ নেতাকর্মী আহত হন। তারা বিএনপির সভাস্থলে টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে চেয়ার ভাঙচুর করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনাস্থলে থাকা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদিন মিঠু বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা গণ-অবস্থানে বসে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেওয়ায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।

এ বিষয়ে যুবলীগের আহ্বায়ক মারুফ রায়হান তপু বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সব সংগঠনের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। সেখানে বিএনপির-জামায়াতের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরাও প্রতিবাদ জানিয়েছি। এ হামলায় আমাদের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আমরা বিএনপির সভায় হামলা চালাইনি, তারা মিথ্যাচার করছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা যাচ্ছি। বিএনপি-জামায়াত এদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার জন্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাছাড়া আমাদের কোনো নেতাকর্মী হামলার সঙ্গে জড়িত না। উল্টো তারা (বিএনপি) নিজেরাই আমার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কোনো পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে কী না তা আমার জানা নেই। আমি ভিডিওতে দেখতে পেয়েছি, বিএনপির সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আজকের ঘটনাটি অনাকাঙ্খিত। খবর পেয়ে পুলিশ দুইপক্ষের এই ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এমআরআর/এএসএম