আইন-আদালত

প্রধান বিচারপতি ও খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে কোনো মন্তব্য নয়

মীর কাশেম আলীর মামলা পুনঃশুনানি দাবি করে তাতে প্রধান বিচারপতি এবং রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলকে বিরত রাখার বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আইনগত সহায়তা বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, আমি যখন আইনজীবী ছিলাম সাব জুডিস ম্যাটারে (বিচারাধীন বিষয়) আমি কখনো কোনো মন্তব্য করিনি। এখন দেশের আইনমন্ত্রী। আজ সাব জুডিস ম্যাটারে কোনো মন্তব্য করলে দেশে একটা ব্যাড প্রিসিডেন্ট হয়ে দাঁড়াবে। সে জন্য আমি মন্তব্য করবো না।‘প্রধান বিচারপতি অতিকথন’ মন্ত্রীদের এ বক্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটুকু বলতে পারি যার যার ব্যক্তিগত মতামত, ওনারা মতামত প্রকাশ করতে পারবেন। আমি সে সমন্ধে কোনো মন্তব্য দিতে চাই না।‘ এশিয়া কাপের ফাইনাল বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি উইশ করতে চাই। আমরা তাদের দিকে তাকিয়ে আছি সুন্দর খেলা দেখার জন্য। আজ ফাইনাল হবে মাঠে। যে দলই নৈপূণ্য দেখাক আমি কিন্তু বাংলাদেশের সমর্থক।’ সরকারি আইনি সেবার মানোন্নয়নে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের অংশীদারিত্ব: সাফল্য, সম্ভাবনা ও অভিজ্ঞতা শীর্ষক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে আইনগত সহায়তা ব্যবস্থা-বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষিত শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিসুল হক বলেন, দেশের সংবিধান অনুসারে সবার জন্য সুবিচার নিশ্চিতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। এ জন্য শেখ হাসিনার সরকার ১৯৯৬-২০০১ সেশনে এ সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর বর্তমানে ৬৪টি জেলায় এর কার্যক্রম চলছে। পদ সৃষ্টি করা হয়েছে ১৯২টি। তিনি বলেন, নতুন যে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন তাদেরকে নিয়ে প্রত্যেক জেলায় বিনামূল্যে আইনগত সহায়তার বিষয়ে বৈঠক করে ধারণা দেওয়া হবে। কারণ একজন ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি জানলে সাধারণ জনগণের কাছে খুব তাড়াতাড়ি তথ্য পৌঁছে যাবে। আইনমন্ত্রী বলেন, অনেক ক্ষেত্রে মামলা করা হয় হ্যারাজ (হয়রানি) করার জন্য। শুধু কোর্টে দোড়ানোর জন্য। জেলের ভয়ে রাখার জন্য। আমি এটা থেকে বের হতে চাই। যদি এ রকম চলতে থাকে তাহলে মামলা ৩০ লাখ থেকে ৬০ লাখে গিয়ে দাঁড়াবে। ১৫ লাখে নেমে আসবে না। এটা থেকে বের হতে চাই। তিনি আরো বলেন, মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে শাস্তি পেতে হবে বর্তমান সময়ে করা সব আইনে এমন বিধান সংযুক্ত করা হয়েছে। এটাকে আরো কার্যকর করতে চাই। তাহলে হয়রানির জন্য করা মামলা কমবে। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বিকাশ কুমার সহার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন এর পরিচালক শাহীন আনাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুদা ও বইয়ের লেখক মুন্সিগঞ্জ জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিন। এফএইচ/জেএইচ/এমএস