চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য খাইরুল আলম জেমকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনা বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে সড়কে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে পৌর শহরের শান্তিমোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওদুদের আশ্বাসে সড়ক ছেড়ে দেন। ফলে প্রায় এক ঘণ্টা বন্ধ ছিল যান চলাচল। এতে বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।
বিক্ষোভের সময় বক্তারা বলেন, শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য খাইরুল আলম জেমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। নয়তো আন্দোলন আরও দৃঢ় হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে কুপিয়ে হত্যা
রাজশাহী থেকে মাইক্রোবাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে শিবগঞ্জে যাচ্ছিলেন সাদ্দাম হোসাইন। শান্তিমোড় এলাকায় পৌঁছালে রাস্তা অবরোধ দেখে তিনি ফিরে জান। তিনি বলেন, রাস্তা অবরোধের কারণে শুধু আমি না অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অটোচালক মাইনুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুক্ষণ ধরে শান্তিমোড় এলাকার রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়েছিল। এমনিতে ঈদের সময় রাস্তায় যানজট ছিল এর ওপর ফের রাস্তা অবরোধ এতে আমরা ভোগান্তিতে পড়েছি।
সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গ থেকে মরদেহ বুঝে পাওয়ার পর মরদেহ নিয়ে মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও মানববন্ধন করেন তারা। এ সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ওদুদ বিশ্বাস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমদ শিমুল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসিসহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা শহরের উদয়ন মোড়ে সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তার বাড়ি শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মরদানা এলাকার বাসিন্দা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবুল কালাম সাহিদ জাগো নিউজকে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আমরা দুজনকে আটক করেছি। তবে তদন্তের স্বার্থে এ মুহূর্তে তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখতে হচ্ছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে ১৩ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের নবাব মোড়ে আলম ঝাপড়া (৫০) নামে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় ১৫ এপ্রিল ভোরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
সোহান মাহমুদ/এসজে/জেআইএম