চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা মামলায় জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৩ এপ্রিল) দিনগত রাতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিবি) ও থানাপুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রাকিব।
গ্রেফতাররা হলেন জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও জেলা শহরের মিলকি বাগানপাড়া মহল্লার মৃত আলতাব হোসেনের ছেলে মেসবাহুল হক টুটুল (৪২), তার সহযোগী জেলা শহরের মসজিদপাড়া মহল্লার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (৩৮), একই এলাকার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম ওরফে দাউদ ইব্রাহিম ওরফে হাবা (৩২), হুজরাপুর রেলবাগান এলাকার রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে শামীম রেজা (৩৫) ও প্রান্তিকপাড়া মহল্লার সানাউল হকের ছেলে মিলন হোসেন (৩০)।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেমকে হত্যার পর থেকে এজাহারভুক্ত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। পরবর্তী সময়ে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতার আসামিদের আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
জেম হত্যাকাণ্ডের তিনদিন পর শনিবার (২২ এপ্রিল) রাতে তার বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪৮ জনকে আসামি করা হয়।
এর আগে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন রনু, রোকন, রনি ও মেরাজ খোনা।
১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
সোহান মাহমুদ/এসআর/এমএস