সরকার নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে কঠোর অবস্থানে। তবে এটি বন্ধ করাই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। তিনি বলেন, প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও নারীরা সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। এটি বন্ধ করতে সরকার বদ্ধপরিকর।সোমবার সচিবালয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন চুমকি।বর্তমান সরকারের মেয়াদে নারী উন্নয়নে আপনার নিজের মূল্যায়ন কি জানতে চাইলে চুমকি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার নারীর উন্নয়নে ও ক্ষমতায়নে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ নারীর অগ্রযাত্রায় অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে। তবে পথটি দীর্ঘ। আমাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে পথ পাড়ি দিতে হবে।সরকার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তৈরি করা হয়েছে লক্ষ্যে পৌঁছানোর কর্মপরিকল্পনা। আমরা সেভাবেই এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা নারী নীতি হাতে নিয়েছি। সসিংসতা রোধেও কাজ করছি। নারী নীতির বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। ৪০টি মন্ত্রণালয় জেন্ডার বিষয়ক বাজেট করেছে। তিনি আরো বলেন, সহিংসতা রোধে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। সামাজিক কর্মসূচি বাড়াতে হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনা বাড়াতে হবে। বাল্যবিবাহ রোধে এগিয়ে আসতে এবং মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। অল্প বয়সে বিয়ে দিলে নারীরা নিজের অধিকার রক্ষা করতে পারে না। তারা স্বামী অন্যায় করলেও কথা বলতে সাহস পান না। এমনকি যৌতুকের কারণে নির্যাতন করলেও সহ্য করে নিতে হয়। এভাবে চলতে পারে না। চুমকি বলেন, সরকার ৬৪টি জেলায় সহায়তা কেন্দ্র করেছে। নারীরা চাইলে সেখানে গিয়ে অভিযোগ দিতে পারবেন। এমনকি নারীর অভিযোগ শুনতে ২৪ ঘণ্টার কল সেন্টার চালু রয়েছে। এছাড়া নারীর জন্য আশ্রয়স্থল করা হচ্ছে। যাতে নির্যাতিত নারীরা সেখানে আশ্রয় নিতে পারেন।এখনো নারীর জন্য কর্মপরিবেশ তৈরি হচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারের তিনি বলেন, পুরুষের মনোভাব এজন্য দায়ী। তারা নারীর মর্যাদা দিতে রাজি হয় না। অপরদিকে, নারীকে মানসিকভাবে পুরুষের মনোভাবের সমতায় আসতে হবে। প্রতিযোগিতা করতে হবে। অধিকার আদায় করে নিতে হবে। নারীর প্রতিবাদের ভাষা দুর্বল। এখান থেকেও আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নারীদের প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার জন্য সরকারের কোনো উদ্যোগ রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী (মেহের আফরোজ চুমকি) বলেন, আমরা প্রযুক্তিতে পারদর্শী করতে নারীদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। সনদও দেয়া হচ্ছে। যাতে চাকরির ক্ষেত্রে তারা তা ব্যবহার করতে পারেন। এসএ/এসএইচএস/এএইচ/পিআর