সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তীব্র গরমে রেললাইন বাঁকা হয়ে যায়। বাঁকা হয়ে যাওয়া লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকে। সেই বাঁকা লাইনে কচুরিপানা দিয়ে শীতল করার চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি পাশের ডোবা-নালা থেকে বালতি ও মগ দিয়ে পানি ঢালা হয়।
মূলত এ কারণেই নির্মাণের সময় রেললাইনের মাঝে ফাঁকা রাখা হয়। আসুন জেনে নিই রেললাইনের মাঝখানে ফাঁকা রাখার কারণ—
তীব্র গরমের সময় সূর্যের তাপে এবং রেল চলার সময় চাকার ঘর্ষণে উৎপন্ন তাপের ফলে লাইন প্রসারিত হয়। সঠিক মাপের একটানা লাইন হলে এই প্রসারিত অংশের জন্য জায়গা না থাকায় লাইন বেঁকে যেতো। যার ফলে রেল দুর্ঘটনা ঘটতো।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রার ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা
এই রেল দুর্ঘটনা এড়াতেই লাইনের মাঝে মাঝে ফাঁকা রাখা হয়। যাতে লাইন প্রসারিত হলেও ফাঁকা স্থানটি প্রসারিত অংশের জন্য জায়গা করে দেবে। ফলে আর বেঁকে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
যেহেতু রেললাইন ইস্পাতের তৈরি। লাইনের ওপর দিয়ে যখন ট্রেন চলে; তখন ঘর্ষণের ফলে এবং সূর্যের উত্তাপে লাইনের তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। তাপমাত্রার এই বৃদ্ধির ফলে ধাতব উপাদানে তৈরি রেললাইন দৈর্ঘে প্রসারিত হয়।
এ সময় পাশাপাশি অবস্থিত দুটি লাইনের মাঝে ফাঁকা না থাকলে রেললাইন বাঁকা হয়ে যাবে। এ কারণে রেললাইনের যেখানে দুটি লোহার বার মিলিত হয়, সেখানে ফাঁকা রাখা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা থেকে কলকাতা যেতে ট্রেনের টিকিট কাটবেন যেভাবে
সম্প্রতি গরমের তীব্রতা এত বেশি যে, রেললাইনের মাঝে ফাঁকা রাখার পরও লাইন বেঁকে যাচ্ছে। লাইনের দুই বারের মাঝখানে যতটুকু ফাঁকা রাখা হয়েছে, তাতেও সংকুলান হচ্ছে না।
তবে স্বাভাবিক আবহাওয়ায় বাঁকা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কমে গেলেই বাঁকা হওয়া সমস্যার সমাধান হবে।
এসইউ/জিকেএস