নারী ও শিশু

স্ত্রী-কন্যার কৃতজ্ঞতা স্বীকার

‘স্ত্রী রোজীনা চৌধুরী (নার্গিস) আর একমাত্র সন্তান মেয়ে নাবিলাহ্ তাবাসসুম ভূঁঞা আমার সার্বক্ষণিক অনুপ্রেরণা আর উৎসাহদাতা। স্ত্রীর উৎসাহে পেশাজীবনে চলছি। তারই উৎসাহে আবার লেখালেখি। আমার স্ত্রীতো রীতিমতো আমার নাটকের স্ক্রিপ্ট দেখেও দেন।’ এভাবেই জীবন চলার পথে দুই নারীর ভূমিকার কথা স্বীকার করেন মো. তাবারক হোসেন ভূঁঞা।বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাবেক এই কর্মকর্তা কাজ করছেন বেসরকারি খাতের প্রাইম ব্যাংকে। ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। পড়ন্ত বেলায় লেখালেখিতেও কুড়িয়েছেন বেশ সুনাম। সম্প্রতি জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। উইং কমান্ডার মো. তাবারক হোসেন ভূঁঞা ২০০৫ সালে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুরের একজন গ্রাজুয়েট। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে করেছেন এমবিএ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ল থেকে এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রিও অর্জন করেন।তাবারক হোসেন ভূঁঞা বলেন, আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা দুজন আমার লেখালেখির অনুপ্রেরণা। তারা উৎসাহ না দিলে আমি কোনোদিন লেখালেখি শুরু করতাম না।‘আঁধারের ঋণ ও অন্যান্য’ শিরোনামে একটি বই লিখেছেন মো. তাবারক হোসেন ভূঁঞা। সবশেষ একুশের বই মেলাতে পুঁথি নিলয় প্রকাশনী থেকে বইটি প্রকাশ করা হয়। বইটি বেশ কাটতি নিয়ে চলেছে। বই লেখালেখিতে এটিই প্রথম হলেও নাটক লিখে এরই মধ্যে নন্দিত হয়েছেন তিনি।তিনি বলেন, আত্মবিশ্বাসের কোনো ঘাটতি ছিল না। এরই মধ্যে আমার বেশ কয়েকটি নাটক ও টেলিফিল্ম তৈরি হয়েছে। যা বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হয়েছে। দর্শকপ্রিয়তাও পেয়েছে।তিনি জানান, তার লেখা প্রথম নাটক ‘শিশির কণা’ প্রচার হয় এনটিভিতে। দ্বিতীয় নাটক ‘মেঘের কোলে সূর্য হাসে’ প্রচার হয় বৈশাখী টিভিতে। তৃতীয়টি টেলিফিল্ম ‘আঁধারের ঋণ’ প্রচার হয়েছে আরটিভিতে। প্রথম দুটি নাটক দুই ঈদে আর টেলিফিল্মটি গত ১৬ ডিসেম্বর প্রচার হয়েছে। পেয়েছেন আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড। আর ‘মন মন্দিরে’ নামে একটি গল্প নিয়ে নাটক তৈরির কাজ চলছে। কাজ করছেন অরুণা বিশ্বাস।লেখালেখিতে কোন বিষয়কে গুরুত্ব দেন জানতে চাইলে মো. তাবারক হোসেন ভূঁঞা বলেন, সামাজিক সমস্যা ও সামাজিক ঘটনা প্রবাহগুলোকে আমি লেখালেখিতে গুরুত্ব দেই। এতো ব্যবস্ততার মধ্যেও সময় তৈরি করেন কিভাবে? প্রশ্নের সোজা উত্তর, আমি মনে করি, চাপ বেশি থাকলে কাজও বেশি হয়। আমি চাপকে সঠিকভাবে ব্যবহার করি। বিচলিত হই না।তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন সকালে হাঁটতে বের হই। কুর্মিটোলা গফল ক্লাবে হাঁটা-হাঁটি করি। হাঁটতে হাঁটতে চিন্তা করি। গাড়িতে লেখালেখির উপকরণ থাকে। এভাবেই সময়ের ব্যবহার করি। অফিস ও সহকর্মীরাও নানাভাবে সহায়তা করে থাকে। তাদের কাজ ও কথাও আমার লেখার উপকরণ জোগায়, বলেন মো. তাবারক হোসেন ভূঁঞা।একটি আন্তর্জাতিক মানের মুভি তৈরির চিন্তাও রয়েছে এই ব্যাংকার লেখকের। সেটি নিয়েও কাজ করছেন বলে জানালেন। যা নিয়ে আশা করছেন, আন্তর্জাতিক পদক অর্জনের।তবে লেখালেখি পেশা নয়, একেবারে মনের চাওয়া থেকেই করেন তিনি।এসএ/এসএইচএস/এমএস