শেরপুরের শ্রীবরদী সীমান্ত থেকে নিখোঁজের তিন দিন পর মনির নামে একজনের মরদেহ বাংলাদেশি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেলে শেরপুর সীমান্তের ১১১৬নং মেইন পিলার সংলগ্ন নাকুগাঁও স্থলবন্দরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মনিরের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মনির শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের পশ্চিম খাড়ামোড়া গ্রামের মৃত মুন্সের আলীর ছেলে। তবে কেন কিভাবে মনিরের মৃত্যু হয়েছে এ সম্পর্কে বিএসএফ কিংবা ভারতীয় পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
নিহতের পরিবার জানায়, মনির সপরিবারে ঢাকায় থাকতেন। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন এবং তার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। এবার ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়িতে আসেন। গত পহেলা মে রাত থেকে মনির নিখোঁজ ছিলেন। পরবর্তীতে পুলিশের মাধ্যমে তারা জানতে পারেন মনিরের মরদেহ ভারতের একটি হাসপাতালে আছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান জানান, ভারতীয় পুলিশের তথ্যমতে মনির আহত অবস্থায় ভারতের ঢালু প্রদেশে একটি স্থানে পড়েছিলেন। খবর পেয়ে পহেলা মে রাতে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ঢালু থানা পুলিশ। এরপর ২ মে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়।
তিনি বলেন, মনির মৃত্যুর আগে তার নাম ঠিকানা বলে যাওয়ায় আমরা তার পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানাতে পারি। তবে সে কী কারণে মারা গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ভারতের ঢালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইমরান হাসান রাব্বী/এফএ/জিকেএস