পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার করতোয়া নদীতে হঠাৎ মাছ ভেসে উঠেছে। এসব মাছের অধিকাংশ মরা। তাই বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব মাছ ধরতে ব্যস্ত ছিলেন এলাকাবাসী। তেঁতুলিয়া উপজেলার শীবচন্ডি থেকে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় কয়েকশ মানুষ মাছগুলো ধরেছেন।
মাছ ভেসে ওঠার কারণ এখনো জানা যায়নি। স্থানীয়দের ধারণা, কীটনাশক অথবা বিষ জাতীয় ট্যাবলেট দেওয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। আর প্রশাসন বলছে, বৃষ্টিতে ভারতের চা বাগানে দেওয়া কীটনাশক ধুয়ে নদীতে পড়ায় এমনটা হতে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর এবং দেবনগর ইউনিয়নে পাঁচ শতাধিক মৎস্যজীবী আছেন। ওই এলাকার করতোয়া নদীতে তারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা হঠাৎ নদীতে মাছ ভাসতে দেখেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ভজনপুর এবং দেবনগর ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের কয়েকশ মানুষ নদীতে মাছ ধরতে নামেন।
দু-পাঁচ কেজি ওজনের মাছ থেকে শুরু করে দেশি পুঁটি, বৈরালী, বাইন, রুই, শোল, বোয়াল, কাতল, চিতল, মহুকাসহ নানা প্রকার মাছও পাওয়া যায়। তবে এভাবে মাছ মরে যাওয়ায় স্থানীয় মৎস্যজীবীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
পঞ্চগড় করতোয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, হঠাৎ নদীতে সব ধরনের মাছ মরে ভেসে উঠছে। মাছ ধরাই আমাদের পেশা। এ সময় সাধারণত মা মাছ ডিম দেয়। এমন সময় মাছ মরে যাওয়ার ঘটনা দুঃখজনক। কীটনাশক অথবা বিষাক্ত ট্যাবলেট দিয়ে কেউ এমন কাজ করতে পারেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।
এ বিষয়ে জানতে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ সিরাজীর মোবাইল নম্বরে কল দিলে বলেন, ছুটিতে আছি। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অথবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, করতোয়া নদীর উৎপত্তিস্থল ভারত। সেখান থেকেই নদীর পানি প্রবাহিত হয়। এলাকা পরিদর্শনসহ মৎস্য বিভাগের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে, ভারতের ওই এলাকায় প্রচুর চা বাগান আছে। বৃষ্টির কারণে চা বাগানে দেওয়া কীটনাশক পানিতে ধুয়ে নদীতে পড়ায় এমনটা হতে পারে।।
সফিকুল আলম/এসজে/জিকেএস