শরীয়তপুর সদর উপজেলায় এক পোশাক শ্রমিককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে তাদের নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পালং মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন মোহাম্মদ জুয়েল ফরাজী, মো. সুমন বয়াতি, মোহাম্মদ ইয়াসিন বয়াতি, মো. শাহিন সরদার, মো. খোকন সরদার, মো. রাসেল সরদার মোহাম্মদ ও রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মিজান ঢালী (৪৫)।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা জানা গেছে, শুক্রবার (৫ মে) ওই পোশাক শ্রমিক তার চাচাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান। রাত ১২টার দিকে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হলে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা সাত-আটজন তাকে একটি বাড়িতে তুলে নিয়ে যান। সেখানে অন্যদের সহযোগিতায় জুয়েল ফরাজী ও সুমন বয়াতি তাকে ধর্ষণ করেন। এসময় ভুক্তভোগী চিৎকার করতে চাইলে তাকে মারধর করা হয়। পরে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, জুয়েল ফরাজীর বোন ফাতেমা বেগমের বাড়িতে নিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এসময় আপত্তিকর ভিডিওধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। সেখানে আমার মেয়ে অসুস্থ বোধ করলে তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা আইনের আশ্রয় নিতে বলেন। পরে আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তারা আজকে গ্রেফতার হয়েছে। তাদের উপযুক্ত বিচার চাই। যাতে আরও কোনো মেয়ের সঙ্গে তারা এমন কাজ না করতে পারে।
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি শুনে মামলা নিয়েছি। ভুক্তভোগীর বাবা সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এক ইউপি সদস্যসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার চিঠি পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ভুক্তভোগী শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
এমআরআর/এমআইএইচএস