নারী দিবস উপলক্ষে নারীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চে শুধুমাত্র নারী আইনজীবীরা তাদের মামলা শুনানি করেছেন। সেখানে বিচারপ্রার্থীদের বেশিরভাগই ছিলেন নারী। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে নারীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে পুরো এক ঘণ্টাই নারী আইনজীবীর মাধ্যমে নারী বিচারপ্রার্থীদের মামলার শুনানি গ্রহণ করা হয়।৮ মার্চ (মঙ্গলবার) বিশ্ব নারী দিবসে এমন নজির স্থাপন করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ। ওই বেঞ্চে বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত পুরো এক ঘণ্টায় ৩০ জন নারী আইনজীবী বিভিন্ন মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন।মঙ্গলবার রাতে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের বিরতির আগে জজ সাহেবরা বলেছেন- যেহেতু আজ নারী দিবস, তাই নারীদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে বিকেল ৩টা থেকে শুধু নারী আইনজীবীদের মামলা শুনবেন। এ কারণে ৩টার আগে পুরুষ আইনজীবীদের বিষয়গুলো নিষ্পত্তি করেন আদালত। এরপর ৩টা থেকে নারী আইনজীবীদের পরিচালনায় মামলাগুলো শুনানি গ্রহণ করা হয়।প্রসঙ্গত, ১৮৫৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সুতা কারখানার নারী শ্রমিকরা তাদের কাজের সময় ১২ ঘণ্টা থেকে আট ঘণ্টায় কমিয়ে আনার দাবিতে ও বৈষম্যহীন ন্যায্য মজুরি আদায়ের তাগিদে পথে নামেন। পরবর্তীতে ১৯০৮ সালে নিউইয়র্কে বস্ত্রশিল্পের নারী শ্রমিকরা কাজের সুস্থ পরিবেশ, সময় ও যোগ্য মজুরির দাবিতে আন্দোলন করেন। জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সে বছর সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নারীদের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজতান্ত্রিক দল পরের বছর অর্থাৎ ১৯০৯ সালে ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ জাতীয়ভাবে নারী দিবস পালন করে।এরপর ১৯১০ সালে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। এতে অংশ নেয় ১৭টি দেশ থেকে আসা ১শ জন নারী প্রতিনিধি। এতে ক্লারা জেটকিন প্রতিবছর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব দেন। সম্মেলনে নারীর অধিকার নিশ্চিত করতে ১৯১১ সাল থেকে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা করা হয়।পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে জাতিসংঘ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায় নারী দিবস। সেই থেকে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে বিশ্বব্যাপি পালিত হয়ে আসছে।এফএইচ/বিএ