দেশজুড়ে

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পাশে পাঠদান, বড় দুর্ঘটনার শঙ্কা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ডাকবাংলো কাম সাইক্লোন শেল্টারে ফাটল ধরে বিভিন্ন স্থান থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা। শুধু তাই নয়, একটু জোরে বাতাস হলেই নড়ে ওঠে ভবন। এ অবস্থায় তার পাশেই চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর পাঠদান।

ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনটি পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জিরো পয়েন্ট এলাকায় পুরাতন খাস পুকুরপাড়ে অবস্থিত। তিনতলা ভবনের দুদিকে লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একদিকে মহাসড়ক এবং অন্যদিকে পর্যটকদের সার্বক্ষণিক চলাচলের ব্যস্ততম রাস্তা চলে গেছে। এ অবস্থায় যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৭০ দশকের দিকে ভবনটি সাইক্লোন শেল্টার ও রেস্ট হাউজ হিসেবে পরিচিতি ছিল। বর্তমানে ভবনটির বিভিন্ন পিলার ও ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভেতরের রড বেরিয়ে গেছে। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে ভবনটি। এ অবস্থায় স্থানীয় ও পর্যটকরা এখানে বিশ্রাম এবং তার কোলঘেঁষেই কোমলমতি শিশুরা খেলাধুলা করছে।

বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র রাইসুল করিম জাগো নিউজকে বলে, ‘বিদ্যালয়ের সামনের এ জায়গাটুকুতে আমরা খেলা করি। মাঝে মধ্যে ইট খুলে খুলে পড়ে। তখন আমাদের খুব ভয় লাগে।’

আল-বেলাল নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার মেয়ে এ বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। মেয়েকে যখন আনতে যাই তখন প্রায়ই ওই ভবনের নিচে বিশ্রাম নিই। বাচ্চারাও ওখানে খেলা করে। অথচ ভবনটির অবস্থা কী খারাপ! দ্রুত ভবনটি ভেঙে ফেলা উচিত।’

৬০ নম্বর লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়ের দুদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো। সারাক্ষণ ভয়ে থাকতে হয়। তবে বাচ্চাদের ভবনের পাশে বেশি যেতে দেই না। ভবনটি অপসারণের জন্য কয়েকবার এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’

কুয়াকাটা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিল শাহ-আলম হাওলাদার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভবনটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে একটু জোরে বাতাস হলে ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে। কুয়াকাটার সবচেয়ে ব্যস্ততম এ জায়গায় ভবনটি এখন অনিরাপদ।’

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ভবনটি অপসারণের জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আশ্বাস দিয়েছেন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ জাগো নিউজকে বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওখানে যেতে নিষেধ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি পেলে আমরা এটাকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে অতিদ্রুত অপসারণ করবো।

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসআর/জেআইএম