মানিকগঞ্জে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে এক শিক্ষককে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় ওই শিক্ষককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বেতিলা-বালিরটেক সড়কের হিজলাইন এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত জামাল উদ্দিন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার লেমুবাড়ী বিনোদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। এছাড়া তিনি সদর উপজেলার পুটাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে মোটরসাইকেলযোগে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের বাসা থেকে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন জামাল উদ্দিন। পথে হিজলাইন এলাকায় এনবিসি ইটভাটার সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে আনা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো জামাল উদ্দিনের মোটরসাইকেলে চড়ে আমি বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলাম। তিনি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। আমাদের মোটরসাইকেল বেতিলা-বালিরটেক সড়কের হিজলাইন এনবিসি ইটভাটা এলাকায় যাওয়া মাত্র দুইজন যুবক জামালকে এলোপাতাড়ি লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে।
তিনি বলেন, এসময় আমরা মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাই। এরপর পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলে আরও দুইজন সেখানে আসে। তাদের ব্যাগের ভেতর থেকে চাপাতি বের করে জামাল উদ্দিনকে সবাই মিলে কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় রেখে তারা চলে যায়। এরপর স্থানীয়দের সহায়তায় আমি তাকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আবুল হোসেন আরও বলেন, একমাস আগে জামাল উদ্দিনের ভাতিজা জাহিদকে তুচ্ছ ঘটনায় মারধর করে পুটাইল এলাকার সজিব, কাজল, উজ্জ্বলসহ কয়েকজন। এ ঘটনায় জামাল উদ্দিন প্রতিবাদ করেছিলেন এবং থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারাই আজ সকালে এই হামলা চালিয়েছে বলে ধারণা করছি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা শোনার পর দ্রুত হাসপাতালে যায় পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু আমাদের সদস্যরা হাসপাতালে গিয়ে তাকে পায়নি। হামলার শিকার জামাল উদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। হামলাকারীদের ধরার চেষ্টা চলছে।
বি.এম খোরশেদ/এমআরআর/এমএস