গাইবান্ধায় চলমান এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল পরিবর্তন করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে সাব্বির রহমান (১৯) নামের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৯ মে) বিকেলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেন।
এর আগে, মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি কাপাসিয়ার দালালপাড়া থেকে সাব্বির রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। সাব্বির রহমান ওই গ্রামের কছিম উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত ৩০ এপ্রিল শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে করতে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে গাইবান্ধা জেলা সাইবার পেট্রোলিং টিম কাজ করছে। পেট্রোলিং টিম সোস্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নফাঁস ও রেজাল্ট পরিবর্তন চক্রের বিষয়ে মনিটরিং শুরু করে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৮ মে সকালে সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মসিউর রহমান তার ব্যবহত ফেসবুক আইডিতে দেখতে পান বিডি নিজাম উদ্দিন নামের এক ফেসবুক আইডি থেকে এসএসসি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও রেজাল্ট (জিপিএ) পরিবর্তন করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এমনকি ওই আইডি থেকে একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে সেই নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে টাকা চাওয়া হয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক এসআই মসিউর রহমান জেলা পুলিশ সুপারকে অবগত করেন। পুলিশ সুপার বিষয়টি দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে অনুসন্ধান চালিয়ে ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারী সাব্বির রহমানকে শনাক্ত করে পুলিশ। একই সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাব্বির রহমানকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, দুটি সিমকার্ড ও ফেসবুক আইডি লগইন অবস্থায় জব্দ করা হয়।
এতে আরও জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাব্বির রহমান অনলাইনে পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবর্তনের পোস্ট দিয়ে প্রতরণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এছাড়াও ফেসবুকে রেজাল্ট পরিবর্তনের সঙ্গে জড়িত সম্ভাব্য ৩টি মেসেঞ্জার ও ৭টি পাবলিক ফেসবুক গ্রুপে এই সংক্রান্ত পোস্ট দেওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন।
পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন বলেন, এই প্রতারক চক্রের সদস্য ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে লক্ষাধিক টাকা সংগ্রহ করেছেন। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে।
শামীম সরকার শাহীন/কেএসআর