বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং নার্সের মধ্যে বাগবিতণ্ডার জেরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
বুধবার (১০ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিশু বিভাগে মাশরুর রিশাদ নামে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক রাতের ডিউটি শেষে ফিরছিলেন। এসময় হাসপাতালের করিডর পরিষ্কার করার জেরে তানজিলা নামে এক নার্সের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা শুরু হয়।
ইন্টার্ন চিকিৎসক এবং নার্স ঘটনাটি তাদের সঙ্গে কর্মরতদের জানালে উভয়পক্ষ উত্তেজিত হয়ে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থায় নেয়। এসময় সকাল পৌনে ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত প্রায় ৪৫ মিনিট হাসপাতালের নার্সরা কাজ বন্ধ রাখেন। পরে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহম্মদ মহসিন তার কক্ষে উভয়পক্ষকে ডেকে কথা বলে সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
বাংলাদেশ নার্সিং অ্যাসোসিয়েশন শজিমেক হাসপাতাল শাখার সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, সকালে শিশু ওয়ার্ডে ক্লিনার করিডর পরিষ্কার করছিলেন। একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় নার্সের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়। ঘটনা জেনে সবাই মিলে প্রশাসনিক ভবনে গিয়েছিলাম। এসময়ের মধ্যে কাজ বন্ধ ছিল, তবে কর্মবিরতির কিছু হয়নি।
শজিমেক ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. তাসফিকুর রহমান বলেন, সকালে শিশু ওয়ার্ডে একজন নার্স ইন্টার্ন চিকিৎসক মাশরুর রিশাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। এ ঘটনায় পরিচালক স্যারকে জানিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো কর্মবিরতি হয়নি।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক যাকারিয়া রানা বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তবে কর্মবিরতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। নার্সরা একযোগে প্রশাসনিক ভবনে আসলে তাদের বুঝিয়ে কাজে ফেরানো হয়েছে। এ ঘটনায় চার সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাসেবা স্বাভাবিক আছে।
এমআরআর/এএসএম