দেশজুড়ে

নীলফামারীতে হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি

নীলফামারী সদর ও জলঢাকা উপজেলায় হঠাৎ ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়েছে। ঝড়ে ঘরবাড়ি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে।

সোমবার (১৫ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ও জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে ঝড় আঘাত হানে।

ঘণ্টাব্যাপী এ ঝড়ে শতাধিক কাঁচাপাকা বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও সবজি বাগান লন্ডভন্ড হয়ে ব্যাপক ক্ষতি খবর পাওয়া গেছে। ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিমুলবাড়ি এলাকার আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আমার দুইটা টিনের ঘর। একটি হেলে গেছে, আরেকটি পুরো ভেঙে গেছে।’

লক্ষ্মীচাপ আকাশকুঁড়ি এলাকার শাহীন আলম বলেন, ‘আমাদের পাড়ার প্রায় ২০-২৫টি ঘর ভেঙে গেছে। আমাদের গরুর ঘর ভেঙে গেছে। দিনের বেলা প্রচণ্ড রোদ থাকলেও রাতে বাতাস শুরু হয়।’

লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, আমার ইউনিয়নের আকাশকুঁড়ি এলাকাসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে উপজেলা পরিষদের পাঠানো হবে।

জলঢালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মঈনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ঝড়ে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খবর পেয়েছি। চেয়ারম্যানকে তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। তালিকা পেলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হবে।

নীলফামারী সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার জাগো নিউজকে বলেন, সঠিক কতগুলো ঘরবাড়ি কিংবা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। তালিকা পেলে সহযোগিতা করা হবে।

এ বিষয়ে জেলার ডিমলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জাগো নিউজকে বলেন, আগে থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস ছিল রংপুর অঞ্চলের কিছু এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি হতে পারে এবং তা হয়েছে। ১৮ মে এ এলাকায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে।

রাজু আহম্মেদ/এসআর/জেআইএম