খেলাধুলা

টাইগার বোলারদের প্রশংসায় ডাচ অধিনায়ক

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাছাই পর্বের প্রথম ম্যাচে বুধবার আইসিসির সহযোগী দেশ নেদারল্যান্ডসকে ৮ রানে পরাজিত করে বিশ্বকাপ মিশনের শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসকে এখনো ক্রিকেট বিশ্বে আইসিসির সহযোগী দেশ হিসেবেই সবাই চিনলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বিশ্বের যেকোনো পরাশক্তি দেশকে হারানোর সামর্থ্য তাদের আছে। সেটি ২০১৪ সালে ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েই তারা প্রমাণ করেছে।বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও টাইগারদের তারা প্রায় হারিয়েই দিয়েছিল। বুধবারের এই ম্যাচে ডাচ ক্রিকেটাররা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। ১৫৩ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করানোর পরেও একটা সময় টাইগারদের পরাজয় অনুমিতই মনে হচ্ছিল ডাচদের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে। কিন্তু সেটি শেষ পর্যন্ত সম্ভব হয়নি শেষের দিকে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে।বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার শেষ দুই ওভারই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। ১৭তম ওভারে মাশরাফি যখন বল করতে আসেন, তখন নেদারল্যান্ডসের প্রয়োজন ছিল ২৪ বলে ৪২ রান। ডাচ ব্যাটসম্যানদের পক্ষে এ লক্ষ্য মোটেও অসম্ভব কিছু মনে হচ্ছিলো না। কিন্তু অবিশ্বাস্য নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ১৭তম ওভারে মাশরাফি মাত্র ৩ রান দেন। পাশাপাশি ডাচ ব্যাটসম্যান ফন ডার মারউইর উইকেটটিও তুলে নেন অধিনায়ক।ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডাচ অধিনায়ক পিটার বোরেনও স্বীকার করে নিলেন মাশরাফির ওই ওভারটিই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারক ছিল। “চার ওভার বাকি থাকার সময়ও আমরা ম্যাচে খুব ভালোমতোই ছিলাম। ১৭তম ওভারে মুর্তজাই আমাদের সর্বনাশটা করেছেন। আমরা একটা উইকেটও হারিয়ে ফেলেছি। জয়ের এতো কাছাকাছি এসে হেরে যাওয়াটা সত্যিই খুব হতাশাজনক। ম্যাচজয়ের কৃতিত্বটা অবশ্যই বাংলাদেশের বোলারদের দিতে হবে”, বলেন বোরেন।তবে শুধুমাত্র ১৭তম ওভারেই নয়, পুরো ম্যাচেই ছিল মাশরাফির বোলিং দৌরাত্ম্য। চার ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। টাইগার অধিনায়কের ২৪টি বলের মধ্যে ১৪টিই ছিল ডট বল যা ডাচদের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে আনতে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।বিএ