এখনও চূড়ান্ত হয়নি মডেল। তবে ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট 'ক্রিকইনফো'র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আইসিসি তাদের রাজস্ব ভাগাভাগিতে কোন দলের জন্য কত বরাদ্দ রেখেছে। এর মধ্যে লভ্যাংশের সবচেয়ে বড় অংশ পাচ্ছে ভারত।
Advertisement
ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে জানা যায়, ২০২৪-২৭ চক্রে আইসিসির লভ্যাংশের ৩৮.৫ শতাংশ পাবে ভারত। দুইয়ে থাকা ইংল্যান্ড ৬.৮৯ শতাংশ, তিনে অস্ট্রেলিয়া পাবে ৬.২৫ শতাংশ। পাকিস্তান পাবে ৫.৭৫ শতাংশ আর বাংলাদেশ ৪.৪৬ শতাংশ।
প্রস্তাবিত এ মডেলে খুশি নন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আইসিসিকে আমাদের বলতে হবে, কীভাবে এ অঙ্কটা ঠিক করা হলো। এখনকার যে অবস্থা, তাতে আমরা খুশি নই।’
এই মডেল এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আগামী মাসে ডারবানে আইসিসির বোর্ড সভায় ভোটের মাধ্যমে ঠিক হবে। এই প্রসঙ্গে নাজাম আরও বলেন, ‘জুনে আইসিসির বোর্ড যখন এই আর্থিক মডেল অনুমোদনের প্রত্যাশা করছে, আমাদের বিস্তারিত না জানালে আমরা অনুমোদন দেব না।’
Advertisement
এখন পর্যন্ত পিসিবি ছাড়া কোনো বোর্ডই আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসির এই লভ্যাংশ বণ্টন মডেলের বিরোধিতা করেনি। ভারত যে লভ্যাংশ বেশি পাবে, সেটা সবাই মেনেই নিয়েছে। মানতে আপত্তি নেই পিসিবি প্রধানেরও।
কিন্তু তার কথা, ‘নীতিগতভাবে, ভারতের বেশিই পাওয়া উচিত, এতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু...কিভাবে এই টেবিলটি তৈরি করা হচ্ছে?’
বোঝাই যাচ্ছে, পিসিবি প্রধান আইসিসির লভ্যাংশ বণ্টনের প্রক্রিয়া নিয়েই মোটেই খুশি নন। এখন দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গে আর কোনো বোর্ড দাঁড়ায় কিনা।
এমএমআর/এএসএম
Advertisement