দেশজুড়ে

দেশি মাছের পোনা রক্ষায় ব্যতিক্রমী প্রচারণা

কিশোরগঞ্জে মাছের পোনা রক্ষায় ব্যতিক্রমী প্রচারণায় নেমেছে একদল যুবক। সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের ভাস্করকিলা বড়বিলে স্থানীয় যুবক সোয়েল ফারুকীর নেতৃত্বে তারা এ প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাদের দাবি, একমাস দেশি মাছের পোনা না মারলে মাছে ভরে ওঠবে বিল। যা আগামী দিনে এলাকার মানুষেরই মাছের জোগান দেবে।

সরেজমিন ভাস্করকিলা বড়বিলে দেখা যায়, নিয়ম করে প্রতিদিন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সোয়েল ফারুকীর নেতৃত্বে একদল যুবক হ্যান্ডমাইক হাতে নিয়ে বিলের চারপাশে ঘুরে ঘুরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। গত কয়েক বছর ধরে এসময় তারা প্রচারণা চালান। কারণ এসময় নতুন পানিতে পোনা ছাড়ে দেশি মাছ। মাছের পোনা ঝাঁক বেঁধে ঘুরে বেড়ায়। সেই পোনা যেন জেলে বা সাধারণ মানুষ না ধরেন তাই তাদের এ প্রচারণা। এ প্রচারণা চলবে একমাস। তাদের দাবি, এ একমাস দেশি শোল, গজার, টাকি মাছের পোনার ঝাঁক না ধরলে তা বড় হয়ে যাবে।

যুবক সোয়েল ফারুকী বলেন, ‘এ পোনা ধরলে মাছের বংশ বিস্তার ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই কয়েক বছর ধরে বিলের চারপাশে ঘুরে ঘুরে তরুণ ও যুবসমাজকে নিয়ে মাইকিং করছি। জেলে ও সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে ওয়াদা করেন, তারা আর দেশি মাছের পোনা ধরবেন না।’

আব্দুল মজিদ (৫৫) ও হাফিজুল ইসলাম (৩৭) নামের দুই জেলে জাগো নিউজকে বলেন, ‘পোনা মাছ খাইতে খুব মজা। তাই আমরা আজ পোনা ধরতে আসছিলাম। তবে আজ থেকে ওয়াদা করলাম এ পোনা মাছ আর ধরবো না। অন্যদেরকেও ধরতে নিষেধ করবো। কারণ এ পোনা মাছ জাতীয় সম্পদ। বড় হলে আমাদেরই লাভ হবে।’

কিশোরগঞ্জের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কৃষিবিদ রিপন কুমার পাল বলেন, যুবকদের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। তাদের মতো সবাই যদি মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসেন তাহলে এ কাজটি আরও বেগবান হবে।

এসকে রাসেল/এসআর/জেআইএম