দেশজুড়ে

সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে খুলনা নগরীর রাস্তাঘাট

সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যাচ্ছে খুলনা নগরীর রাস্তাঘাট

সামান্য বৃষ্টিতেই খুলনা নগরীর অধিকাংশ রাস্তাঘাট তলিয়ে যাচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে নগরবাসী। উন্নয়ন কাজের জন্য রাস্তাঘাট খুঁড়ে রাখা এবং দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই এ ভোগান্তি বলে দাবি বাসিন্দাদের।

Advertisement

খুলনা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ১৬ মিলিমিটার এবং শনিবার (২৭ মে) সকালে তিন মিলিমিটার আর দুপুর ১২টার পর ৩০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এদিকে, দুপুরে ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক। নগরীর রয়্যাল মোড়, পিটিআই মোড়, খান জাহান আলী রোড, আহসান আহমেদ রোড, কেডিএ অ্যাভিনিউ, সাউথ সেন্ট্রাল রোড, টুটপাড়া মেইন রোড, দোলখোলা, সামছুর রহমান রোডসহ বিভিন্ন সড়ক ও এলাকায় পানি জমে যায়।

এতে সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল কমে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

Advertisement

নগরীর বিকে ইউনিয়ন ইনস্টিটিউটের পরীক্ষার্থী শাহিন রহমান পরীক্ষা শেষে বের হয়ে পড়ে যায় কাদার মধ্যে। তার বাবা বলেন, ফুল মার্কেট সংলগ্ন এই সড়কটি এক বছরের অধিক সময় ধরে খুঁড়ে রাখা হয়েছে। মেরামত করার কোনো আলামত নেই।

শুধু এই সড়কটিই নয়, নগরীর শতাধিক রোডে কাজ করতে করতে বন্ধ রাখা হয়েছে। এসব সড়কে বৃষ্টির পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তার ওপর ধীরগতির ড্রেন নির্মাণ কাজের কারণেও পানি জমছে পুরো খুলনা মহানগরীতে।

দুপুরে রয়্যাল মোড়ে বাইক নিয়ে কাদাপানির মধ্যে পড়ে যান সাইফুল ইসলাম নামে এক চাকরিজীবী। দুপুরে খাওয়ার জন্য বাড়ি ফেরার পথে নোংরা পানিতে পড়ে ভিজে যান তিনি।

নগরীর ইজিবাইক চালক মুকুল বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই এই সড়কটি তলিয়ে যায়। তখন যানচলাচল করা খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে।

Advertisement

এদিকে, বৃষ্টি হলে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে পরিবহন ভাড়াও। সেন্ট জোসেফ স্কুলের এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক অধিক ভাড়া চাওয়ায় রিকশাচালকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। রিকশাচালক বলেন, এমনিতেই রাস্তা খারাপ, তার ওপর হাঁটুপানিতে রিকশা চালানো কষ্টকর। তাই ১০ টাকা বেশি চেয়েছি।

এদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং বর্তমান মেয়র প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক তার শেষ কর্মদিবসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খুলনার উন্নয়ন কাজের জন্য সময়িকভাবে নগরবাসীকে একটু সমস্যায় পড়তে হবে। কাজগুলো শেষ হলে আর কোনো ভোগান্তি থাকবে না।

নগরীতে কেসিসি, কেডিএ, সওজ ও ওয়াসা একযোগে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে কিছুকিছু সড়ক যানচলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

আলমগীর হান্নান /এমআরআর/জেআইএম