বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ খাতকে দুর্নীতির প্রধান খাত হিসেবে নেওয়ায় দেশের জনগণ অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছে বলে মনে করে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম ‘জাতীয় স্থায়ী কমিটি’।
Advertisement
দলটির স্থায়ী কমিটি মনে করে, বর্তমান সরকারের নজিরবিহীন দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থায় চরম সংকট সৃষ্টি হয়েছে। জবাবদিহিতার অভাবে দুর্নীতির লক্ষ্যে অপরিকল্পিতভাবে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া, ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ২৫ বছরের অসম বিদ্যুৎচুক্তি আজকের সংকটের প্রধান কারণ। অসহনীয় লোডশেডিং, শিল্প ও কৃষিখাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ঘাটতি এবং জ্বালানি কেনার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা সর্বোপরি এ খাতকে দুর্নীতির প্রধান খাত হিসেবে নেওয়ায় বিদ্যুতের দাম বারবার বাড়িয়ে জনগণকে অসহনীয় দুর্ভোগের মুখে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে যা দেশে অর্থনীতিতে সংকটের সৃষ্টি করছে।
সোমবার (৫ জুন) রাতে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা হয়। এতে বর্তমান অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ সংকট বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। পরে বিদ্যুৎ সংকট বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আরও পড়ুন>> ঢাকায় নারী সমাবেশ করবে বিএনপি
Advertisement
মঙ্গলবার (৬ জুন) দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে গৃহীত এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থায়ী কমিটির সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ‘গণবিরোধী’ বাজেটকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। সভা মনে করে, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চরম দুরবস্থায় বিপর্যস্ত পরিস্থিতির মধ্যেও করযোগ্য নয় এমন টিনধারীদের ওপর ন্যূনতম দুই হাজার টাকা আয়কর আরোপের সিদ্ধান্তসহ অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের কোনো বাস্তবসম্মত নীতি গ্রহণ না করে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও সংকটময় করে তুলবে। এ বাজেট মূল্যস্ফীতি আরও বাড়াবে। কৃষি ও শিল্পে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে উৎপাদনকে নিরুৎসাহিত করবে। অর্থনৈতিক সংকট আরও বৃদ্ধি করবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সভা মনে করে, প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষা খাতে শিক্ষার ব্যয়, শিক্ষার উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিক্ষার মানোন্নয়নের পথকে বন্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা লাভের সুযোগ সৃষ্টি করার কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সর্বোপরি অনুৎপাদন খাতে বরাদ্ধ বৃদ্ধি করে সার্বিক উৎপাদনশীলতা ব্যাহত করা হচ্ছে। ঘাটতি বাজেটের অর্থ সংগ্রহে সুনির্দিষ্ট বাস্তবসম্মত নীতি গ্রহণ না করে গোজামিলের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। এ বাজেট সাধারণ মানুষকে আরও বেশি দুর্ভোগে ফেলবে।’
কেএইচ/এএএইচ
Advertisement