দেশজুড়ে

পূর্ব শত্রুতার জেরে সৎ ভাইকে শ্বাসরোধে হত্যা

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে সাত্তার ফকির নামে (৫০) এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎ ভাইয়ের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (৯ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের দেওভোগ গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নিহত সাত্তার ফকির রুদ্রকর ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় অটোরিকশার চালক ছিলেন।

গ্রেফতাররা হলেন- এসকেন্দার ফকিরের ছেলে ইমরান, বাবুল মোল্যার ছেলে মাসুম, দেলোয়ার মাদবরের ছেলে সিহাবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের সবার বাড়ি একই এলাকায়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক আছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে সাত্তার ফকিরকে তার ভাতিজা এসকেন্দার ফকির, মিলন ফকির, আরিফ ফকির ও সৎ ভাই কামাল ফকির ডেকে নিয়ে নিয়ে যান। পরে হাতুড়ি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে জখম করেন। একপর্যায়ে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়। শব্দ পেয়ে সাত্তার ফকিরের মেয়ে নিপা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলে তার চাচা ও চাচাতো ভাইয়েরা পালিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সাত্তার মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।

নিহত সাত্তার ফকিরের মেয়ে তানিয়া আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, বাবুল মোল্যা মিলন ফকির আর আরিফ ফকির আগে থেকেই বলেছে আমার বাবাকে বাঁচতে দেবে না। এর আগে আমার ভাই শামিম ফকিরকে শবেবরাতে মেরেছ সিফাত, ইমরান, মাসুদ। আমার ভাইকে মেরে শান্তি পায়নি। আমার বাবাকে নিয়া গেলো। আমি বাবার হত্যাকারীদের বিচার চাই।

নিহতের বোন ফরিদা বেগম বলেন, আমার ভাইকে কামাল ফকির ও তার ছেলেরা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যার পর রাস্তায় ফেলে গেছে। আমার ভাই নির্দোষ। ভাইকে ওরা খুন করছে।

শরীয়তপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠাই। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে আসামি করে নিহতের স্ত্রী সালমা বেগম হত্যা মামলা করেছেন। তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এসজে/এএসএম