দেশজুড়ে

আশুগঞ্জ নৌবন্দরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নদী বন্দরে মারধরের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান ধর্মঘট পালন করছেন শ্রমিকরা। রোববার (১১ জুন) দুপুর থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করছেন তারা। ফলে বন্দরে অর্ধশতাধিক মালবাহী কার্গো আটকা পড়েছে।

নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ বাহার জানান, শনিবার বন্দরে কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় নেতারা পরিদর্শনে আসেন। এ সময় নোঙরে থাকা এমভি শাহানায়া শেখসহ ১৮টি জাহাজের শ্রমিকদের মালিক পক্ষের লোকজন কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করেন। শ্রমিকদের মারধরের প্রতিবাদে আলোচনা করার পর রোববার থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন করছি আমরা।

আরও পড়ুন: পণ্য পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার 

তিনি বলেন, শ্রমিকদের মারধরের সুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা কাজে যোগ দেব না। আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।

কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নাজমুল হোসাইন হামদু জানান, কোনো ধরনের নিয়ম না মেনে পণ্য নিয়ে জাহাজগুলো আশুগঞ্জ বন্দরে আসে। নদী বন্দরে জাহাজে তদারকির সময় শ্রমিকদের কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়। তখন তারা কাগজপত্র দেখাননি। সিরিয়ালের কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। তাদের কাউকে মারধর করা হয়নি। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

আশুগঞ্জ নদী বন্দরে নৌপথে সার, রড, সিমেন্ট, ধান, চাল, পাথর, কয়লাসহ কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন পণ্য নিয়ে প্রতিদিন অর্ধশত জাহাজ নোঙর করে। এ সব পণ্য আশুগঞ্জ থেকে সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জে যায়।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/আরএইচ/জিকেএস