দীর্ঘ ১৩ বছর পর হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন চন্দ্র রায়কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) রংপুর জেলার মাহিগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। তিনি চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার পূর্ব দুর্গাপুর গ্রামের হারাধন চন্দ্র রায়ের ছেলে।
র্যাব-৭ ফেনী ক্যাম্প জানায়, ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় ফুলগাজীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মো. মুলকত আহাম্মদ কালা মিয়া পরশুরাম সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে এক যাত্রী নিয়ে ফুলগাজী মুন্সিরহাটে যাওয়ার জন্য রওনা হন। পরে ফুলগাজী উপজেলার ধলিয়া জগতপুর এলাকায় তার রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে ২ লাখ ৪৪ হাজার শিশু
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ফখরুল বাদী হয়ে ২০১০ সালের ১৯ নভেম্বর ফেনীর ফুলগাজী থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ফুলগাজী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্ত করেন। হত্যা মামলায় আটক তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করে- ভিকটিমের সিএনজি ও মোবাইল ফোন লুট করার জন্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। তদন্ত ও প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জন আসামির নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পুলিশের তদন্ত ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে আসামিদের অনুপস্থিতিতে আদালত ২০২১ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ভিকটিম মো. মুলকত আহাম্মদ কালা মিয়াকে হত্যার দায়ে আসামি সুমন চন্দ্র রায়কে (৪৩) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ২০ কেজি গাঁজাসহ আটক দুই রোহিঙ্গা
ফেনীস্থ র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিভিন্ন স্থান পরিবর্তন করে ও ছদ্মনামে সুমন চন্দ্র রায় গত ১৩ বছর রংপুর জেলার মাহিগঞ্জ এলাকায় বসবাস করছে। র্যাব সদস্যরা নানা তথ্য-উপাত্ত ও নজরদারির মাধ্যমে তাকে ওই এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করে। বুধবার তাকে থানায় হস্তান্তর করা হবে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/জেএস/এএসএম