সাংবাদিকদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে মাসখানেক আগে বিরাগভাজন হন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন। এরপর তার সমালোচনায় ফেটে পড়ে সাংবাদিক সমাজ। সে সমালোচনাও ভালোভাবে নিতে পারেননি কাজী সালাউদ্দীন। তাই তিনি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রিট করে দেন।
বাফুফে প্রধানের পাশাপাশি নানা তির্যক সমালোচনার শিকার বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও। তাকে নিয়েও মিডিয়ায় নানা কথা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাজমুল হাসান পাপন রীতিমত সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই সমালোচনা তিনি কীভাবে দেখেন? তিনিও কি কখনো কাজী সালাউদ্দীনের মতো রিট করার কথা ভেবেছেন?
বুধবার বাংলাদেশ আর আফগানিস্তান টেস্টের প্রথমদিন শেষে মিডিয়ার প্রশ্নের জবাবে পাপন বলেন, ‘দেখেন, আমি একটা কথা বলি। আমাকে নিয়ে যত আলোচনা হয়, খারাপই বেশি। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা যেটাই হয়, আমি কখনো রিয়্যাক্ট করি না।’
কেন প্রতিক্রিয়া দেখান না? তার ব্যাখ্যাও আছে পাপনের। তিনি বলেন, ‘আমি একটা জিনিস মনে করি, আমার একটা পরিকল্পনা থাকতে হবে, ওই অনুযায়ী এগিয়ে যেতে হবে। এটা অনেকের ভালো লাগবে, অনেকের লাগবে না। এটা যে একেবারে সবসময় ঠিক হবে, এমনও কোনো কথা নাই। আমার ভুলও হতে পারে।’
বিসিবি সভাপতি মনে করেন সমালোচনা হলে সতর্কতা আসে। তাই তিনি সমালোচনার জবাব দিতে নারাজ।
তার ভাষায়, ‘এসব শুনলে আমাদের একটা সতর্কতা আসে। যে যা বলছে এটা দেখি। যদি দেখি যে না এটা ঠিক না, তাহলে মাথা ঘামানোর কোনো কারণই দেখি না। আর যদি ঠিক হয় তাহলে আমাদের সংশোধনের একটা সুযোগ আছে। অনেক কিছু আছে আমাদের ভালো না লাগতে পারে, কিন্তু সবই যে একেবারে খুব খারাপ কিছু বলছে, তা না। কিছু জিনিস আমাদের সংশোধনে সাহায্য করে। এগুলো নিয়ে চিন্তা করার প্রশ্নই আসে না।’
তিনি কখনো সাংবাদিকদের বিপক্ষে মামলা করা বা লিগ্যাল নোটিশ দেওয়ার পক্ষে নন। কারণ বিসিবি প্রধান মনে করেন, দেশের ক্রিকেট আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে, তাতে গণমাধ্যমের একটা বড় ভূমিকা ও অবদান আছে।
পাপন বলেন, ‘মামলা, রিট করার চিন্তা মাথায় আসার প্রশ্নই আসে না। বাংলাদেশের ক্রিকেটের একটা বড় অংশীদার হচ্ছে মিডিয়া। এটা সবসময় বলে আসছি। বাংলাদেশে ক্রিকেটের আজকে যে অবস্থান, এটার পেছনে মিডিয়ার বড় অবদান আছে। এজন্য এরকম কোনো চিন্তার প্রশ্নই আসে না।’
এআরবি/এমএমআর/জেডএইচ